ব্যাংকগুলো ঋণের সুদহার বেঁধে দেওয়ার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। একইভাবে আমানতের সুদহার কমে যাওয়ায় ব্যাংকের আমানতেও টান পড়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বিবেচনা করলে ব্যাংকে আমানত রেখে গ্রাহকেরা যে সুদ পাচ্ছেন, তা মূল্যস্ফীতি খেয়ে ফেলছে। এমন এক পরিস্থিতিতে অনেক ব্যাংক আমানত–সংকটে পড়েছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতের সুদহার তুলে নিয়েছে। একই সঙ্গে ভোক্তাঋণের সুদহারও বাড়িয়েছে।
দেশের ব্যাংকগুলো প্রতিবছর যে পরিমাণ ঋণ দিয়ে থাকে, সেখানে ভোক্তাঋণের পরিমাণ ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ১০ শতাংশের কম। তাই শুধু ভোক্তাঋণে সুদ বাড়িয়ে ঋণ বিতরণে কতটা গতি আনা যাবে, তা নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান।
জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের মানুষের একটি অংশকে ঋণ করে জীবনযাত্রার বাড়তি খরচ মেটাতে হচ্ছে। এখন ভোক্তাঋণের সুদ বাড়ানোর ফলে তারা হয়তো চাপে পড়বেন। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করছে। দেরিতে হলেও আংশিকভাবে আমরা সেই পথে গেছি। তবে বিদ্যমান নীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।
এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল