ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেল ‘ফ্রেন্ডশিপ’
অনলাইন ডেস্ক
ফ্রেন্ডশিপ-এর পরিচালক নাজরা মাহজাবীন সাবেত-এর হাতে সুপারব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ ব্যাংক-এর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক আফতাব উল ইসলাম, এফসিএ

প্রথমবারের মতো সুপারব্র্যান্ডস অ্যাওয়ার্ড পেল দেশের স্বনামধন্য সামাজিক সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড পায় সংস্থাটি। রাজধানীর দ্য শেরাটন হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শনিবার রাতে ঘোষণা করা হয় ২০২২ সালের সুপারব্র্যান্ডগুলোর নাম। 

বিজয়ী ব্র্যান্ডের নাম ঘোষণা করে সুপারব্র্যান্ডসের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম’। অনুষ্ঠানে দেশের ৪০টি ব্র্যান্ডকে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনার প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। 

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, ‘সুপারব্র্যান্ডস’ অ্যাওয়ার্ডই প্রান্তিক মানুষের শক্তি। ফ্রেন্ডশিপ সব সময় ভাগ্য বিড়ম্বিত ঠিকানাহীন মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন এবং তাদের মাঝে সততা, ভালবাসা ও নৈতিকতা সৃষ্টিতে গুরুত্ব দেয়। এটাই আমাদের ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এফসিএ পরিচালক (পরিচালনা পরিষদ) আফতাবুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংক ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ফ্রেন্ডশিপ-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) কর্নেল (অব.) ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, পরিচালক নাজরা মাহজাবীন সাবেত, সিনিয়র ম্যানেজার সাবরিনা নিজামসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা। 

সুপারব্র্যান্ডস হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলোর একটি আন্তর্জাতিক আর্বিটার বা স্বীকৃতি, যা বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯০টি দেশে বিস্তৃত। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান, বৈশ্বিক ব্র্যান্ডসগুলোর সর্বোচ্চ সাফল্যের প্রতীক। ব্যবসায়িক ও সামাজিক ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র থেকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে বাছাই করা হয় সুপারব্র্যান্ডগুলো। বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে অভিহিত করা হয় ব্র্যান্ড কাউন্সিল হিসেবে। 

উল্লেখ্য, যেখানে জীবন-জীবিকা হুমকিতে, সেসব প্রন্তিক চর এলাকার জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করা এবং স্থানীয় জনগণের ক্ষমতায়নসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জলবায়ু কার্যক্রম, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ‘ফ্রেন্ডশিপ’। ২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে সংস্থাটি। দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি যেখানকার বাসিন্দারা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার এমন জনগোষ্ঠিকে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সফলতার মডেল হিসেবে  স্বীকৃতি পেয়েছে ফ্রেন্ডশিপ। সংস্থার আছে চার হাজারের বেশি কর্মচারী, যাদের ৫০ ভাগ স্থানীয় বাসিন্দা। ফ্রেন্ডশিপের আছে আন্তর্জাতিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ও দৃষ্টিভঙ্গি, যেখানে মানুষের আশা ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার সমান সুযোগ থাকে। 

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল



এই পাতার আরো খবর