ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

দক্ষ কর্মীর অভাবে প্রতি বছর শিল্প খাতের ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে বিদেশিরা: ডিসিসিআই
অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর (ডিসিসিআই) সভাপতি সামীর সাত্তার বলেছেন, দেশের শিল্প খাত পরিচালনায় অনেক বিদেশি কাজ করেন। তারা প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন। 

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বাইরে চলে যাওয়ার জন্য দায়ী দেশে গুণগত ও দক্ষ শ্রমশক্তির অভাব। দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরির জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত 'ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ: এমপ্লয়েবিলিটি অভ গ্র্যাজুয়েটস ইন দ্য চেঞ্জিং গ্লোবাল কনটেক্সট' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সামীর সাত্তার বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজের কোনো বিকল্প নেই।'

সেমিনারে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, 'একাডেমিশিয়ানদের একটা বিষয় আছে যে, আমি তো জানি, আমার কেন ইন্ডাস্ট্রির কাছ থেকে শিখতে হবে। আর ইন্ডাস্ট্রিরও আছে, আমি তো ব্যবসা জানি, আমার কেন এই শিক্ষক মানুষের কাছে যেতে হবে। এক হাতে তালি বাজবে না, দুজনকেই লাগবে, দুজনকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এটাকে ফ্যাসিলিটেট করার জন্য সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত।'

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রাথমিক শিক্ষায় নতুন কারিকুলামে শিখানো হচ্ছে। আমি আশা করি এই শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে শ্রমবাজারে যাবে, তখন আর এই স্কিল গ্যাপটি থাকবে না। তবে এখন যে স্কিল গ্যাপ রয়েছে সেটা পূরণ করতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সফট স্কিল শেখাতে হবে।'

এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিংয়ে জোর দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকাটাও খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

সরকার জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এখানে ২৯টি মন্ত্রণায়ল দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। 

পেপার প্রেডেন্টেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া লিংকেজ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কর্মক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জিং। ভবিষ্যতে অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়বে। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর