ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ডলারের বদলে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে চায় ব্রিকস
অনলাইন ডেস্ক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাণিজ্যে ‘ডি-ডলারাইজেশন’ প্রক্রিয়া গতি পেয়েছে। অনেক দেশই এখন মার্কিন ডলারকে পাশ কাটিয়ে ভিন্ন মুদ্রায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে। ডলারের বিকল্প হিসেবে স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন বাড়াতে চায় ব্রিকস দেশগুলোও।

ব্রিকস হলো পাঁচটি দেশের জোট। এসব দেশের নামের আদ্যক্ষর নিয়েই এই জোটের নামকরণ হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকস স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়াতে কাজে লাগাবে জোটের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (এনডিবি)।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ব্রিকস ও এনডিবির অন্যতম সদস্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা বিশ্ব। ফলে চাপ পড়ে এনডিবির তহবিল ও ঋণ কার্যক্রমে। ৯ দেশের সমন্বয়ে গঠিত এনডিবিতে ব্রিকসের ৫ সদস্য ছাড়াও রয়েছে মিশর, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়ে।

চলতি মাসের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ব্রিকস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।

এই সম্মেলন সামনে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থমন্ত্রী এনক গোডোঙ্গোয়ানা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, এনডিবির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মুদার ব্যবহার বাড়ানোই হবে সম্মেলনের অন্যতম এজেন্ডা। মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধের লক্ষ্যেই এটি করা হবে বলে জানান তিনি।

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর থেকেই উদীয়মান বাজারের মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হতে শুরু করে। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ২০২২ সালের শুরু থেকে একের পর এক সুদের হার বাড়াতে থাকে। এতে উদীয়মান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারে ঋণ অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ এনডিবির সদস্য তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে।

সাংহাইয়ে এনডিবির প্রধান কার্যালয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফএও) লেসলি ম্যাসডর্প রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্যাংকের লক্ষ্য আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে স্থানীয় মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা। যদিও একেবারে সুনির্দিষ্ট কারণে ব্যাংকের পরিচালন মুদ্রা হচ্ছে ডলার। মূলত ডলার হচ্ছে তারল্যের সহজলভ্যতা যেখানে সবচেয়ে বেশি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর