ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিপিডির সংবাদ সম্মেলন
আমদানি খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে পেট্রোবাংলা ও বিপিসি
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানিপ্রবণতার কারণে পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) পেমেন্ট দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দেশি তেল-গ্যাস উত্তোলনের চেয়ে আমদানিতে গুরুত্ব বেশি দেওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর ডিরেক্টর রিসার্চ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। গতকাল সিপিডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি তিন মাস পর পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কার্যক্রম ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম কোয়ার্টারের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর রিপোর্ট ‘পরিবর্তনের পথে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত’ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছে ৬৭০ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট বকেয়া পড়েছে বিপিসির। অন্যদিকে পেট্রোবাংলার এলএনজি আমদানি বাবদ বকেয়া পড়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো। এ দায় মেটাতে পেট্রোবাংলা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) কাছ থেকে ছয় মাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার সিন্ডিকেট ঋণ নিচ্ছে। সিন্ডিকেট ঋণ সাময়িক সময়ের জন্য স্বস্তি মনে হলেও বিপদ বাড়াবে। আমরা এখনই বকেয়া পরিশোধ করতে পারছি না। এর সঙ্গে সুদসহ বোঝা যুক্ত হচ্ছে। আমদানিকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেভাবে দেশি জ্বালানির উত্তোলনে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যে কারণে আজকের এ সংকট। নতুন গ্যাস কূপ না করলেও পুরনো গ্যাস কূপের সংস্কার যথাসময়ে হলে এ সংকট তৈরি হতো না। তিনি বলেন, এখন যত দ্রুত সম্ভব আমদানি কমানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। বিকল্প জ্বালানির দিকে যেতে না পারলে ডলার সংকট দূর করা সম্ভব নয়। আমাদের ৫১ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেকার পড়ে থাকছে। ভবিষ্যতে সবচেয়ে সাশ্রয়ী হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি। এমনকি সাশ্রয়ী গ্যাসের চেয়েও কম দাম পড়বে। রিপোর্টে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এলএনজি আমদানিনীতির সিদ্ধান্তে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য নতুন করে ২০টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া বিদ্যুতের সবচেয়ে কম ব্যবহার হচ্ছে ময়মনসিংহ ও রংপুর জোনে। শুধু উৎপাদন ঘাটতি নয়, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং বেড়েছে।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর