ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে : ডিসিসিআই
নিজস্ব প্রতিবেদক
কথা বলছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেছেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে।’

আজ শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, খেলাপি ঋণ, পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীলতা, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট এবং টাকার অবমূল্যায়ন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশ সফলতার সাথেই মোকাবিলার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আশা করছি, আগের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা বেশ সফলতার সাথেই মোকাবিলা করে অর্থনীতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাব।’

জ্বালানি স্বল্পতা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জ্বালানির অভাবে আমাদের শিল্প-কারখানা বন্ধ হওয়ায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না এবং বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সমস্যাটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিবিএসসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত তথ্যের স্বচ্ছতা উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপতি মূল প্রবন্ধে দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বিষয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি আমাদের বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারিখাতও সমস্যাটির মুখোমুখি হচ্ছে এবং চলতি বছরে দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির গতিধারা ফিরিয়ে আনতে বেসরকারি খাতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিনিময় এবং ডিজিটাল কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি খুবই জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

দেশের আমদানি বিকল্প শিল্পের উন্নয়নে সিএমএসএমইসহ স্ট্যার্ট উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির সুবিধা সম্প্রসারণ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ।

তিনি আরো বলেন, ‘রপ্তানি বহুমুখীকরণ, এক্সপোর্ট ফ্যাক্টরিং, আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় এবং রেমিট্যান্স আহরণে আরো প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।’ এছাড়া পুঁজিবাজারে লেনদেন অবকাঠামো (ট্রেডিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার) এবং অংশগ্রহণ বাড়াতে অলটারনেটিভ ট্রেড বোর্ড (এটিবি) ব্যবহার আরো বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।

সম্প্রতি ঘোষিত মুদ্রানীতি সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে আরো গতিশীলতা ফিরে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টের স্থিতিশীলতা আনায়নে সহায়ক হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘অর্ন্তভক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, রপ্তানির বহুমুখীকরণ এবং প্রবৃদ্ধি সহায়ক নীতি প্রণয়নের ওপর আমাদের আরো বেশি হারে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘ট্যাক্স কোড ব্যবহারের মাধ্যমে একাউন্টিং ও রিপোর্টি প্রক্রিয়ার মধ্যকার সমন্বয় আরো বাড়ানো প্রয়োজন। দেশের কৃষি, ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল, তথ্য-প্রযুক্তি এবং তৈরি পোষাক খাতগুলোতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য একটি সুনিদিষ্ট দীর্ঘমেয়াদি খাতভিত্তিক জাতীয় বিনিয়োগ কর্মকৌশল প্রণয়ন করা জরুরি বলে মত প্রদান করেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর