ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রচণ্ড গরমে ধুঁকছে রংপুরের পোল্ট্রি শিল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

প্রচণ্ড দাবদাহে রংপুরের পোল্ট্রি শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গরমের কারণে অনেক খামারের মুরগি হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। খামারিরা মুরগি রক্ষায় ঘর সার্বক্ষণিক শীতল রাখার চেষ্টা করছেন। দিনে ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করছেন। এছাড়া মুরগিকে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচাতে স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধ খাওাচ্ছেন। বিরূপ আহওয়ায় মাংসের উৎপাদন কমে যেতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি পিস ডিমে দুই টাকা করে লোকসান হচ্ছে দাবি খামারিদের। এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চললে পোল্ট্রি শিল্পে ধস নামার শঙ্কা রয়েছে।

রংপুর পোল্ট্রি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলায় ডিম ও মাংস উৎপাদনের প্রান্তিক খামার রয়েছে প্রায় এক হাজার। ডিম উপাদনের প্রান্তিক খামার রয়েছে প্রায় ১০০টি এবং মাংস উৎপাদনের খামার রয়েছে ৯০০ ওপর। এছাড়া ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল খামার রয়েছে ৩/৪টি। গরমের কারণে এসব খামারে উৎপাদিত ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পাইকারি বাজারে ১৭৫/ ১৮০ টাকার বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। খামরিরা বলেন, গরমের কারণে ব্রয়লার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে সেই সাথে দামও কমছে। একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হচ্ছে ১০ টাকার ওপরে। কিন্তু বর্তমানে পাইকারি ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে ৮ টাকায়। প্রতি হালি ডিমে ৬ থেকে ৮ টাকা লোকসান হচ্ছে। গরমে কারণে খামারের মুরগি গুলো ছটফট পড়েছে।  

জেলা পোল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরমানুর রহমান লিংকন জানান, গরমে পোল্ট্রি শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। মুরগির হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। মহামারি আকারে না হলেও অনেকের খামারের গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। খাদ্য, শ্রমিক, ও চিকিৎসা সংকটের কারণে ডিম ও মুরগি উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ধরে রাথতে পারছে না খামরিরা। ফলে মাংসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। সেই সাথে দামও কম পাচ্ছে। প্রতি পিস ডিমে এখন দেড় থেকে দুই টাকা লোকসান হচ্ছে । এমন তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকলে অনেকে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।  

জেলা পল্ট্রি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, গরমে পোল্ট্রি শিল্পে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। হিটস্ট্রোকসহ মুরগির বিভিন্ন রোগবালাই দেখা নিয়েছে। ডিমের দাম কমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই শিল্পে ধস নামবে। 

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর