ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চামড়া শিল্পের উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে : শিল্পমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে আয়োজিত সভায় অতিথি ও আলোচকরা

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়নে আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে স্বল্প মেয়াদি ও চামড়া শিল্পখাতের সার্বিক উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদি করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগত সহযোগিতাসহ এসব করণীয় বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।’

আজ রবিবার নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স’ এর ৭ম সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা এতে অংশ নেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চামড়া শিল্পখাতে সংরক্ষণ সুবিধা বাড়াতে হবে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয়। চামড়া ব্যবসায়ী/পাইকাররা যাতে পুঁজির সমস্যায় না পড়েন ও সহজ শর্তে ঋণ পান, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া এতিমখানাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়ে থাকে। এর সঙ্গে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি জড়িত।’

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংরক্ষণ ও মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোরবানির ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আমাদের আগের অবস্থা আর নেই। এক্ষেত্রে আমরা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছি।’

সভায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ এবং চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের নিমিত্ত বিজ্ঞাপন/টিভিসি আকারে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা, স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ এবং পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য কৌশলগত স্থানে অস্থায়ী সংরক্ষণাগার নির্মাণ, কোরবানির পশুর চামড়ার পাচার রোধ, চামড়া সংগ্রহ ও পরিবহন কার্যক্রমে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা বাধার সৃষ্টি না হয় এবং চামড়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে যেন কোনো গুজব না ছড়ায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিইটিপি’র পরিশোধন ক্ষমতার মধ্যে সীমিত রাখার লক্ষ্যে কোরবানির পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে ঢাকার বােইরে থেকে যাতে কোরবানির পশুর চামড়া ঢাকার ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চামড়া শিল্পনগরীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রেশনিং পদ্ধতিতে ইফ্লুয়েন্ট ডিসচার্জ করা, সারাদেশে পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ এতিমখানাগুলোতে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করতে বিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বিটিএ এর প্রতিনিধির অনুরোধে চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংক-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ



এই পাতার আরো খবর