ঢাকা, সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বাজারে চাল, মাছ ও সবজির দাম চড়া
অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগের কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি তুলনামূলক অনেক কম। এরপরও বাজারে চাল, মাছ, সবজিসহ কয়েকটি পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সোমবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে চাল কেজিতে দু-তিন টাকা, সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা ও মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য চলমান পরিস্থিতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। 

সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, করলা ৮০ থেকে ১০০, কাঁচা মরিচ ২৮০, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০, চালকুমড়া প্রতি পিস ৬০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩৫ থেকে ৪০, আলু ৬০ থেকে ৬৫, কাঁকরোল কেজি ৮০ থেকে ১০০, শসা ৮০ থেকে ১০০, কচুমুখি ৮০, টমেটো মানভেদে ১৬০ থেকে ২০০ এবং লাউ প্রতি পিস আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয় গতকাল। 

সবজি বিক্রেতারা জানান, ‘অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কারণে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমে গেছে। এ কারণে আমাদের কিছুটা বাড়তি দাম দিয়ে পণ্য আনতে হয়েছে।’   চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি চাল দুই-তিন টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতি কেজি সরু চাল (মিনিকেট) ৭২ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্রি-২৮ ও পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬২ এবং নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া বাজারদরের তথ্যেও নতুন করে চালের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি দেখা গেছে। যেমন—টিসিবির গতকালের বাজারদর প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিনিকেট চাল মানভেদে ৬৪ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে তা ছিল ৬০ থেকে ৭৮ টাকা। পাইজাম চাল কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত মাসের মাঝখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তী সময়ে কারফিউয়ের কারণে পরিবহন সমস্যায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। এতে দাম বেড়ে যায়। এখন আবার নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় এবং টানা দুই দিনের বৃষ্টির কারণে চালের দাম বেড়েছে।

বাজারে মাছের সরবরাহ সংকটের কথা বলে বিক্রেতারা চাষের বড় মাছ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। পাবদা, ট্যাংরাসহ বিভিন্ন ছোট মাছের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

চাষের পাঙ্গাস ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, বড় আকারের তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ২৭০, কাতলা ৪৫০, চাষের পাবদা ৫৫০ থেকে ৬৫০, বড় আকারের ট্যাংরা ৭০০ থেকে ৭৫০ ও চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হয়। চাষ করা কই মাছ ছিল প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ কেজি বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। আর আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রুইয়ের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর