গ্রীষ্মকালে চরম জ্বালানিসংকটে থাকা মিসরকে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব ও লিবিয়া। মিসরের গ্যাস আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে দেশটি বড় সংকটে পড়ে। দেশটির গ্যাস উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববাজার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে মিসরকে সহায়তা করার জন্য সৌদি আরব ১৫ কোটি ডলার এবং লিবিয়া ৫ কোটি ডলার দিয়েছে। সৌদি আরব ইতোমধ্যে তিনটি এলএনজি কার্গোর জন্য অর্থ প্রদান করেছে, আর লিবিয়া একটি কার্গোর খরচ বহন করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিসরের মিত্র দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া গ্যাসের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হত না। সৌদি আরব ও লিবিয়ার এই অর্থ সহায়তা মিসরের জ্বালানিসংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, চলতি গ্রীষ্মে মিসরের গ্যাস চাহিদা মেটাতে আরও অনেক অর্থের প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানিসংকটের ফলে মিসরের বাজেটের ওপর বড় চাপ পড়ছে। কারণ, সরকারকে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি, মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মিসরের গ্যাস উৎপাদন ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলেও, গত মে মাসে তা ২৫ শতাংশ কমে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সাল নাগাদ উৎপাদন আরও কমতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল