ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সিসিক নির্বাচনের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারেন যারা!
অনলাইন ডেস্ক

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের চতুর্থ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ সোমবার। ১০ জুলাই থেকে টানা ১৮ দিন প্রচারণা শেষে এখন অপেক্ষা ভোট উৎসবের। ইতোমধ্যেই প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। এখন অপেক্ষা শুধু সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের।

প্রচারণা বন্ধ থাকলেও প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাপ থেমে নেই। ফোনে চলছে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ। চলছে শেষবারের মতো ভোটারদের ঝালিয়ে নেয়া। কোন কোন প্রার্থী ফোন কোম্পানীর মাধ্যমে ভোটের বার্তাও পাঠাচ্ছেন ভোটারদের সেলফোন নাম্বারে।

আসন্ন নির্বাচনে কার মত কোন দিকে, কে কাকে সমর্থন করছেন। কে এগিয়ে আর কে পিছিয়ে- কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না আমজনতার আলোচনার টেবিল থেকে। প্রশংসা আর সমালোচনা দু’টিই চলছে সমানতালে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকানুযায়ী জানা গেছে, নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬৮৬ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১৪ হাজার ২৬৩ জন, নারী ভোটার ১৬ হাজার ৪২৩ জন। আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই সাড়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটার। এবার তারা নতুন ভোটার হয়েছেন। 

বয়সে তরুণ এই বড় অংকের ভোটারই এবার বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সিসিক নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের যেসব মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা আকৃষ্ট করতে পেরেছেন তারাই পড়বেন জয়ের মালা। 

নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, সিলেট নগরীর বর্তমান মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেটি ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন। এর আগে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮০। 

বর্তমানে নগরীতে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে সিটি নির্বাচনের সময় মোট পুরুষ ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ জন। আর নারী ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৫ জন।

নতুন ভোটারদের মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা একদফা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন উপ-নির্বাচনের সুবাদে। এখানে গত বছরের ২২ মার্চ উপ নির্বাচন হয়েছিল। তখন ওয়ার্ডের নতুন ভোটাররা অবশ্য একদফা ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়েছিলেন। তৃতীয় সিটি নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলর নজিবুর রহমান নীরুর আকস্মিক মৃত্যুতে কাউন্সিলর পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। তাই সেখানে উপ-নির্বাচন দেয় নির্বাচন কমিশন। এতে নতুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খান। 

এই ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ১৯০ জন। এর আগেরবার তৃতীয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটার ছিল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডের মোট ভোটার ১৮ হাজার ৫৭৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৪৯৮ জন ও মহিলা ভোটার ৯ হাজার ৭৫ জন।

আর সর্বনিম্ন ৬ হাজার ৭৫৪ জন ভোটার হলেন ২নং ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে পুরুষ ভোটার ৩ হাজার ৭০৬ জন ও মহিলা ভোটার ৩ হাজার ৪৮ জন। ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে এই ওয়ার্ডে ভোটার ছিলেন ৬ হাজার ২৮৩ জন। সে নির্বাচনেও কম সংখ্যক ভোটারের এই ওয়ার্ডে কেন্দ্রগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেটিই ছিল সিলেটে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার। এবার ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর



এই পাতার আরো খবর