ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নায়করাজের মৃত্যুবার্ষিকীতে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন
অনলাইন ডেস্ক
নায়করাজ রাজ্জাক

নায়করাজ রাজ্জাক। এমন উচ্চতায় যে রাজার আসন, মৃত্যু তাঁকে কখনো ছুঁতে পারে না। তিনি অমর হয়ে আছেন, থাকবেন এ দেশের মানুষের হৃদয়ে। আগামীকাল শনিবার তাঁর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে কাল বাদ আসর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভূমিকা রাখা এই কিংবদন্তি ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

নায়করাজের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায়। কিশোর বয়সে কলকাতার নাটক দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু তাঁর। ১৯৬৪ সালে নতুন জীবন গড়তে সাধারণ মানুষ হিসেবে রাজ্জাক পরিবারসহ ঢাকায় চলে আসেন প্রায় অসহায় অবস্থায়। কঠোর পরিশ্রম আর জীবনে প্রতিটি মুহুর্তের সঙ্গে সংগ্রাম করে হয়েছেন নায়করাজ রাজ্জাক। 

তৎকালীন পাকিস্তান আমলে টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সবার কাছে জনপ্রিয় হন তিনি। ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে ঢালিউডে প্রথম উপস্থিত হন এবং সবার মন জয় করে নেন। ২০১১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। 

চারবার জাতীয় সম্মাননা লাভ করেন। তাঁর সফল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্র তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’-এ ভূষিত করে। ‘উজালা’ ছবির মধ্য দিয়ে শুরু হলো রাজ্জাকের ঢাকার চলচ্চিত্র জীবন। একসময় জহির রায়হানের সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। 

লোককাহিনি নিয়ে জহির রায়হান তখন ‘বেহুলা’ ছবিটি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। জহির রায়হান তাঁকে বললেন আপনিই আমার ছবির নায়ক। জহির রায়হানের সুনিপুণ হাতের ছোঁয়ায় অসাধারণ লখিন্দর হয়ে দর্শকের সামনে উপস্থিত হলেন রাজ্জাক। 

বেহুলা ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পায় আরেকজন অপরিহার্য নায়ক।  ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই অবিসংবাদিত রাজা।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর