ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ইনস্টাগ্রামে জোলি, প্রথম পোস্ট আফগান কিশোরীর চিঠি
অনলাইন ডেস্ক

অভিনয়ের পাশাপাশি বরাবরই সমাজসেবামূলক কাজ করতে দেখা যায় হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রিফিউজিস সংস্থার হয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করেন তিনি। সেই সূত্রেই সারা বিশ্ব থেকে তিনি অনেক উদ্বাস্তু মানুষের চিঠি পান, সেই সব চিঠি সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই এবার ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রোফাইল খুললেন তিনি।  

ব্যক্তিজীবনকে ব্যক্তিগত রাখতেই ভালোবাসেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তাই এতদিন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম- কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ছিলেন না আমেরিকান অভিনেত্রী, নির্মাতা ও মানবতাকর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তবে অ্যাকাউন্ট ইনস্টাগ্রামে খুলতেই একদিনে জুটে গেলো ৪৫ লাখ ফলোয়ার। এরপর পোস্ট করলেন এক আফগান কিশোরীর আর্তনাদ।

ওই কিশোরীর চিঠি শেয়ার করে জোলি তাঁর পোস্টে লিখেছেন, এই চিঠি আফগানিস্তানের একটি বাচ্চা মেয়ে আমাকে পাঠিয়েছে। আফগান লোকজন এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ করতে এবং স্বাধীনভাবে মতামত তুলে ধরতে পারছে না। মৌলিক মানবাধিকারের দাবিতে সারা বিশ্বে যাঁরা লড়াই করছেন, সেসব লোকদের গল্প ও কণ্ঠস্বর তুলে ধরতেই আমি ইনস্টাগ্রামে এসেছি।

চিঠিতে জোলিকে কী লিখেছে ওই কিশোরী? নিজের ইনস্টাগ্রামের প্রথম পোস্টেই চিঠিটির একটি ছবি শেয়ার করে জোলি লিখেছেন, চিঠিটি এক আফগান টিনএজার মেয়ে আমার কাছে পাঠিয়েছে। দেশটির লোকজন এখন নিজেদের মুক্তভাবে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। তাই ওই কিশোরীর হয়ে চিঠিটি শেয়ার করতেই ইনস্টাগ্রামে এলাম আমি।

নিরাপত্তার স্বার্থে মেয়েটির নাম ও অবস্থান অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ওই শিশু লিখেছে, "আমরা আবার বন্দী হয়ে গেলাম। তালেবান আসার আগে আমরা সবাই ঠিকঠাক কাজে গিয়েছি, স্কুলে গিয়েছি। সব ধরনের অধিকার আমাদের ছিল। আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের অধিকার রক্ষা করতে পেরেছি। কিন্তু তারা আসতেই আমরা ভয় পেয়ে গেলাম। আমরা মনে করি, আমাদের সব স্বপ্ন হারিয়ে গেছে। আমাদের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। পড়ালেখা আর কাজ তো দূরের কথা, আমরা বাইরেই যেতে পারি না। কেউ কেউ বলছে, তারা পাল্টে গেছে। কিন্তু আমি তা মনে করি না। কারণ তাদের ভয়ঙ্কর অতীত আছে।"

সূত্র- নিউজ স্কাই।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত



এই পাতার আরো খবর