কালো মেঘ কেটে উজ্জ্বল আকাশ ‘মান্নত’-এর মাথার ওপর। ২ অক্টোবর থেকে যে ঝড় বয়ে গেছে, তা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে খান পরিবারের। ২৮ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন আরিয়ান খান।
এদিকে মুম্বাইয়ের মাদকবিরোধী বিশেষ আদালত জানিয়েছে, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর ভিত্তি করে কখনওই প্রমাণ হয় না আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টকে নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত অর্চিত কুমার। শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে মাদক-মামলায় অর্চিতের জামিন মঞ্জুর করে এমনটাই জানিয়েছে আদালত। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
আদালতের এই রায়ের একটি কপি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। মাদক মামলায় আটক আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্টকে জেরা করে উঠে এসেছিল কলেজ পড়ুয়া বছর বাইশের এই অর্চিত কুমারের নাম।
নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দাবি, অর্চিতকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক পেয়েছিল।
এনসিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্চিত মাদক ব্যবসায় যুক্ত। তিনিই আরিয়ানদের মাদক সরবরাহ করতেন। যে দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশেষ আদালত বলেছে, অর্চিত ও আরিয়ানদের মধ্যে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কখনওই প্রমাণ হয় না তিনি অভিযুক্তদের মাদক দিতেন।
শনিবার ২২ বছরের অর্চিতকে জামিনের রায় দিতে গিয়ে বিশেষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এনসিবি এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি যা থেকে বোঝা যায় অভিযুক্ত নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহে যুক্ত।
শুধু আরিয়ান খানের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে তার চ্যাট প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে এনসিবি। কিন্তু একমাত্র সেই চ্যাটের উপরে নির্ভর করে এটা কখনওই প্রমাণ হয় না তিনি অন্য অভিযুক্তদের মাদক সরবরাহ করতেন।
আদালত বলেছে, যেহেতু আরিয়ান ও আরবাজ হাইকোর্টে জামিন পেয়ে গেছে, সেদিক বিচার করে অর্চিতকেও জামিন দেওয়া যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ