র্যাব কার্যালয়ে আপনাকে কেন নেওয়া হয়েছিল?
ইস্যুটা বড় একটা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাকে মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল ফোন কলটি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে। আমার ফোন থেকে ছড়িয়েছে কি না, কিংবা আমার মাধ্যমে তা লিকেজ হয়েছে কি না- এসব জানতে চেয়েছে। আমার কথা যাচাইয়ের জন্য তাঁরা আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন দীর্ঘ সময়। নানা বিষয় নিয়ে তাঁরা আমাকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর তাঁরা আমার সহযোগিতার কারণে ধন্যবাদ জানান। পরবর্তীতে সহযোগিতা প্রয়োজন হলে করব কি না জানতে চান। আমি বলেছি যে কোনো সময় প্রয়োজন হলেই আমি হেল্প করব।
এরই মধ্যে, এই ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে অনেক কিছু বলছে। এ প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন-
ওই দিন, সারাটা সময় এ নিয়ে আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি আমার ফোন বন্ধ করিনি। কারণ, আমি আমার জায়গায় সৎ। আমি নিজের অবস্থান সবাইকে পরিষ্কার করলেও, সহকর্মীরাই আমাকে ভুল বোঝেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন। এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। ফেসবুকে অনেকে আবার আমাকে নিয়ে নেতিবাচক নানা কথাবার্তা বলার চেষ্টা করেছেন। যারা ওই অডিও শুনেছেন তারা বুঝতে পারবেন আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই। মন্ত্রী যখন বিভিন্ন সংস্থার নাম বলে মাহিকে ভয় দেখিয়েছিলেন, তাই তো আমি মন্ত্রীকে বলেছি, এসব কিছু লাগবে না, আমি দেখছি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা ভেবেই বলেছি কিন্তু। আমি বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি শুধু। এরপর কিন্তু আমরা মিটিং করি, মন্ত্রীর ডাকে সেখানে যাইনি। মাহি বাসায় চলে যান আর আমিও বাসায় চলে যাই।
এরপর মাহির সঙ্গে আপনার কোনো কথা হয়েছে?
এ বিষয় নিয়ে মাহির সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। কিন্তু মাহির যা ভাষ্য মাহি তাঁর ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন।
আপকি কি মনে করেন এ ঘটনা আপনার ক্যারিয়ারের ওপর প্রভাব ফেলবে?
বিষয়টা আমার জন্য ভালো হলো না। কারণ এসব বিষয় আমার সঙ্গে মানায় না। আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, এই অনাকাঙিক্ষত একটি ফোনালাপ আমার ক্যারিয়ারে কালিমা এঁকে দিতে পারে না। আমি যেভাবেই হোক প্রমাণ করব, আমি কোনোভাবেই এসবের সঙ্গে জড়িত নই।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ