ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আশিতে অমিতাভ বচ্চন
অমিতাভ বচ্চন

ইনকিলাব শ্রীবাস্তব, ১১ অক্টোবর ১৯৪২ সালে জন্ম। হয়ে গেলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক অমিতাভ বচ্চন। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আজ তাঁর আশিতম জন্মদিনে তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের অন্যতম একটি দিক তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

১৯৭৮ সাল। একই বছরে  পাঁচটি সিনেমা। প্রত্যেকটি ব্লকবাস্টার হিট। তার মধ্যে কয়েকটি ৫০ সপ্তাহ চলেছে। হয়েছে টিকিট ব্ল্যাক। আজকের মতো একটি মাত্র সিনেমা হলে ছবি রেখে ২৫ সপ্তাহ চলল বলে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে হিট বলা নয়, প্রতিটি ছবি সত্যি রমরমিয়ে চলেছে একাধিক সিনেমা হলে। পেছনে ফিরে দেখে স্মৃতিচারণ করে তাই বলিউডের বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে লিখলেন, ‘ও ভি কেয়া দিন থে’।১৯৭৮ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত পাঁচটি ছবি মুক্তি পায়। ‘ডন’, ‘কসমে ওয়াদে’, ‘ত্রিশূল’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ আর ‘গঙ্গা কি সৌগন্ধ’। তার মধ্যে ‘ডন’ ছবির অগ্রিম বুকিংয়ের একটি ছবি পোস্ট করেন অমিতাভ বচ্চন নিজের ইনস্টাগ্রামে। সঙ্গে তাঁর ক্যাপশন, ‘আমার ছবির অগ্রিম বুকিং ডন..., সিনেমা হলের সামনে টিকিটের জন্য এক মাইল লম্বা লাইন। একই সঙ্গে একই বছরে ডন, কসম ওয়াদে, ত্রিশূল, মুকাদ্দার কা সিকান্দার, গঙ্গা কি সৌগন্ধ... পাঁচটি ব্লকবাস্টার হিট। তার মধ্যে কোনো কোনো ছবি ৫০ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দৌড়াচ্ছে... কেয়া দিন থে ওভি!!’ ক্যাপশনের মাঝে মাঝে রয়েছে ইমোজিও। বলিউডে এখন শুরু হয়েছে ১০০ কোটি, ২০০ কোটি ক্লাবে ঢোকা নিয়ে হিট ফ্লপের মাপকাঠি। কিন্তু সেই সময় কোন ছবি কতদিন চলল, ব্ল্যাকাররা কত রোজগার করলেন, তার ওপর হতো মাপকাঠি সিনেমা হিট-ফ্লপের। সে দিনকেই স্মৃতিচারণ করেছেন বিগ-বি। ছিল না এত রকমের প্রচার ব্যবস্থা। সিনেমার পোস্টার দেখে দর্শক হলে যেতেন। ‘ডন’ ছবির অগ্রিম বুকিংয়ের লাইন মাইল ছাড়িয়ে ছিল। এখনকার মতো অনলাইন বুকিং ছিল না। রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে সিনেমা প্রেমীরা লাইন দিতেন সিনেমার সামনে। হাউসফুল বোর্ড সিনেমা হলের সামনে পড়তেই ‘১০ কা ৫’ বলে শুরু হতো ব্ল্যাকারদের হাঁকডাক। দরকাষাকষি করে পছন্দের তারকা ছবির প্রথম দিনের টিকিট হাতে পাওয়া মানে লটারি যেতা। কিন্তু আজকে  না আছে অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য লাইন, না রয়েছেন ব্ল্যাকার। নেই সিঙ্গেল স্ক্রিন। যেখানে বিগ-বির ছবির প্রথম দিনে সিনেমা হলের সামনে কত রকম পাগলামো করা যায়, তার তোড়জোড়। সিনেমা হলে ঢুকে পয়সা ছোড়া। যাঁরা সেই সময়কে পেয়েছেন, বিগ-বির এই ছবি তাঁদের আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেই সময়ে। যা আজকের জেনারেশনের কাছে অধরাই রয়ে যাবে। সত্যি ‘কেয়া দিন থে ওভি’।



এই পাতার আরো খবর