ঢাকা, শনিবার, ২০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কঙ্গনা খেয়েছেন, সোহম দিয়েছেন: চড়কাণ্ডে উত্তাল ভারতের রাজনীতি-বিনোদন অঙ্গন
কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতীয় অভিনেত্রী ও কেন্দ্রীয় সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাওয়াত বিমানবন্দরে নারী নিরাপত্তা কর্মীর হাতে চড় খেয়েছেন। সে নিয়ে আলোচনায় উত্তাল ভারতের রাজনীতি ও বিনোদন অঙ্গন। এর মাঝেই চড়কাণ্ডে জড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক ও অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।

তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কলকাতার কাছেই নিউটনের এক হোটেল মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েছেন সোহম। জনপ্রতিনিধি হিসেবে এভাবে মেজাজ হারিয়ে কারও গায়ে হাত তোলা উচিত হয়নি বলে স্বীকার করলেন তিনি।

শুক্রবার রাতে নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁ মালিকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ক্ষমা চেয়ে সোহম বলেন, ‘অভিষেক ব্যানার্জির নামে গালিগালাজ করায় আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আমাকে ও আমার দেহরক্ষীকেও কটূক্তি করা হয়। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।'

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউটাউন সাপুরজি এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে শুটিং চলছিল সোহম চক্রবর্তীর। সেই রেস্টুরেন্টের সামনেই তার গাড়িটি রাখা ছিল। এই গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। 

জানা যায় রেস্টুরেন্টের মালিক আনিসুর আলাম বেরিয়ে এসে হোটেলের সামনে রাখা গাড়ি সরাতে বলেন, সে নিয়ে সোহমের  নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে মালিকের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা জানায় এটি বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর গাড়ি। যদিও হোটেলের মালিক বিধায়কের গাড়ি সরানোর দাবি জানাতে থাকে। এরপরই নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে ঝামেলা শুরু হয়। চিৎকার চেঁচামেচি দেখে সোহম নিচে নেমে আসেন। 

সোহমের অভিযোগ তার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির নামে ওই হোটেলের মালিক গালাগালি করছিলেন। তারই প্রতিবাদ করার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। একসময় সোহম ওই হোটেল মালিককে বেশ কয়েকটি চড় মারেন। সোহম নিজেও চড় মারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেটের অধীন টেকনোসিটি থানার পুলিশ। 

সোহমের বক্তব্য শুটিং চলাকালীন সময়ে চিৎকারে চেঁচামেচি শুনে আমি নিচে নেমে আসি এবং বিষয়টি জানতে চাই। পরে জানলাম হোটেল মালিক আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বাজে ব্যবহার করেছে, আমাকে গালিগালাজ করেছে, এমনকি আমার দলের নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্য করে বাজে কথা বলেছেন। তখনই আমার মাথা গরম হয়ে যায় এবং আমিও হোটেল মালিককে দুই-চারটে চড় মারি।' 

এনিয়ে হোটেল মালিকের দাবি, তিনি নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে দিয়ে পুলিশ জোর করে লিখিয়ে নেয়, তার কোন অভিযোগ নেই। রেস্তোরাঁ বালিকার আরো দাবি তার হোটেল ব্যবসা ও গুটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সোহম ও তার অনুগামীরা। 

সোহমের এমন কাণ্ডে রাজনীতিক মহল থেকে বিশিষ্টজন, বিনোদন অঙ্গনের মানুষ ও নেটিজেনরা নানা রকম মন্তব্য করছেন।

বিডি প্রতিদিন/নাজমুল



এই পাতার আরো খবর