শিল্পীর স্বাধীনতা আসলে কাকে বলে? যা মন চায় তাই বলা? লেখা? উৎশৃঙ্খল জীবনযাপন করা? বললাম এক সময় আসবো, আসলাম অন্য সময়? কথা দিয়ে কথা রাখলাম না, অনেক মানুষকে বিপদে ফেললাম? নাট্যকারের স্বাধীনতা আসলে কি? যখন খুশি তখন পান্ডুলিপি দেয়া? সামাজিক মূল্যবোধ বর্জিত লেখা? কথা দিয়ে কথা না রাখা? পরিচালকের স্বাধীনতা আসলে কি? পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ করা? যখন যেটা মন চায় তেমন ভাবে কাজ করা? শিল্পী কলাকুশলীদের টাকা কম দেয়া বা মেরে দেয়া? রাতদিন নাওয়া খাওয়া বিশ্রাম ভুলে কাজ করা? না জেনে, না শিখে পরিচালনা করা? প্রযোজকের স্বাধীনতা আসলে কাকে বলে? যতোপারি কম পয়সায় কাজ নামানো? নাট্যকার, পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীদের প্রতিশ্রুত টাকার চেয়ে কম টাকা দেয়া? বা টাকা মেরে দেয়া?
উপরের সবগুলোতেই জানি সবার উত্তর হবে, না। স্বাধীনতা মানে এসব নয়। যারা বলে থাকেন নিয়ম কানুন করে শিল্পীর স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। শিল্পীর সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করবার জন্য নিয়ম নয়, সংগঠন নয়। নিয়ম এবং সংগঠন স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতাকে নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য। যে শিল্প সামষ্টিক, সে শিল্পে সকলের মাঝে সমন্বয়, নিয়মতান্ত্রিকতা ভালো কাজের ক্ষেত্রে অবশ্যই থাকতে হবে। আর সে কারণেই সংগঠন। যারা নিয়মের ঘোরবিরোধী তারা দয়া করে পৃথিবীর নানান দেশ ঘুরে দয়া করে দেখে আসবেন কোথায় নিয়ম ছাড়া কাজ হয়! শুধু এই বাংলাদেশেই পাবেন। তবে হা, নিয়মের ছকে ফেলে যদি কারো প্রতি অন্যায় করা হয় সেটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কেউই তা চাই না। আমরা সকল সংগঠন মিলে আপ্রাণ চেষ্টা করছি আমাদের ইন্ড্রাস্টিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। আমাদের সহযোগিতা না করতে পারেন, কিন্তু এই কঠিন কাজটিকে আরো বেশি কঠিন করে তুলবেন না দয়া করে। বাংলাদেশের নাটকের জয় হোক।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব