ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নতুন একটি রাজনৈতিক দলের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি...
আনিসুর রহমান মিঠু
আনিসুর রহমান মিঠু

নতুন একটি রাজনৈতিক দলের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি, যা হবে রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকরতম! ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই প্রয়োজন। ধর্ম মানুষকে জ্ঞানী করে, বিনয়ী করে, অপরকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। ইহকাল পরকালের জন্য করণীয় বিষয়সমূহ জানায়।

একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ধর্ম শিক্ষা হওয়া উচিত ধর্মীয় উপাসনালয়ে। সকল ধর্মের মানুষেরা তাদের মতো করে ধর্ম শিক্ষা, চর্চা ও পালন করবে।

ধর্মের প্রকাশ্য চর্চা ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ধর্মীয় উন্মাদনার কারণে কেউ কেউ বা কোন কোন রাজনৈতিক দল লাভবান হলেও, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় চেতনাবোধের।

আমরা ধারণা পৃথিবীতে সব চাইতে বেশি রক্তপাত হয়েছে ধর্মীয় কারণে। ধর্মীয় উন্মাদনা বা এক ধর্মের প্রতি অন্য ধর্মের মানুষের হিংসা বা ঘৃণা জাগ্রত হওয়া, ভয়াবহ বিষয়।

বাংলাদেশ কখনো মৌলবাদী রাষ্ট্র ছিল না। এখানে প্রকৃত মৌলবাদী দলও ছিল না। ভণ্ড মৌলবাদী রাজনৈতিক দল ছিল জামায়াত। তাদের ভণ্ডমিটা একদিক থেকে খারাপও ছিল না। প্রকৃত মৌলবাদের চাইতে ভণ্ড মৌলবাদ ভালো।

বর্তমানে কিছু লোক ওয়াজ মাহফিলের নামে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, নিজেদের অনুসারী বানাচ্ছে, মাদ্রাসার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। ভবিষ্যতে মাদ্রাসা থেকে হুজুর বের হবে না, তাদের ডিজাইন করা সৈনিক বের হবে।

তারা নিজেদের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়িয়ে কৌশলে সময়মত রাজনৈতিক ডাক দিবে। একটা সময়ে নিজেরা একত্রিত হয়ে নতুন নামে এরা ধর্মীয় দল ঘোষাণা করবে। এখন তারা গোপনে শক্তি সঞ্চয় করছে।

দেশে বিরোধী দলের রাজনৈতিক চর্চা না থাকলেও তাদের চাইতেও ভয়ংকর, মৌলবাদীরা প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে। ধর্মের বয়ানের নামে প্রতিদিনই তাদের ওয়াজ ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। এটা খুবই কৌশলী রাজনীতি।

আমি বাংলাদেশকে কখনোই একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই না। ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী আইন ও রাষ্ট্র চলুক চাই না।

আমি চাই মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ম পালন করুক। যেমন আমি নিজে ধর্ম পালন করি কিন্তু জাহির করতে যাই না। নিজের নামের আগে আলহাজ্ব লাগাই না।

আমি চাই দেশে আধুনিক জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বুদ্ধিজীবী, কবি সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র, ক্রীড়া, আধুনিক পর্যটন এলাকা, পর্যাপ্ত বিমানবন্দর, রেল যোগাযোগ, প্রশস্ত সড়ক ও নৌপথ, সঙ্গীত, নৃত্য চর্চা, বাউল, কবিয়াল সবই থাকুক।

আমি চাই আমাদের শিশুরা আমাদের মসজিদ, মক্তবে, স্কুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করুক। তারা হয়ে উঠুক ইসলামী স্কলার।

তাদের দেখলেই যেন সম্মান করতে ইচ্ছে হয়। তাদের দেখলে যেন ভয় না লাগে। তারা দুনিয়াবি লোভ লালসায় যেন জড়িয়ে না যায়।

বর্তমানে মাহফিলের নামে সু-কৌশলে চলছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা। নারী নেতৃত্ব বিরোধী প্রচারণা, এই প্রচারণার পিছনে গভীর রহস্য আছে। দূরদর্শিতা সম্পন্ন রাজনৈতিক কর্মীদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত



এই পাতার আরো খবর