ঢাকা, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আমরা সাদামাটা জীবনের গল্পগুলোকে এড়িয়ে যাই কিভাবে?
শওগাত আলী সাগর
শওগাত আলী সাগর

মাত্র এক বছরের মধ্যে ৬০টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। একে চাকরী হারিয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক। আর নিটওয়্যার খাতের ২৮০টি কারখানা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এই তথ্য দিয়েছেন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, যিনি নিজে একজন গার্মেন্টস মালিক এবং এক সময় গার্মেন্টস মালিকদের নেতা ছিলেন।

৬০টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়া মনে হয় খুবই মামুলি ব্যাপার। নইলে এ নিয়ে কোথাও কোনো আলোচনা হতে শুনিনি তো। ফ্যাক্টরিগুলো নিশ্চয়ই একদিনে বন্ধ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়নি। ৬০টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেলো অথচ সেগুলো কেন বন্ধ হলো, সমস্যা কোথায় ছিলো তা নিয়ে কোনো নিউজও তো চোখে পড়েনি। নিটওয়্যারের যে ২৮০টি কারখানা ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়েছে বলা হচ্ছে সেগুলো তো কার্যতই বন্ধই। না কি? ওই ২৮০টি কারখানায় কতো হাজার শ্রমিক ছিলো? তারা কি বেতন ভাতা পাচ্ছে? ৩২,৫৮২ জন গার্মেন্টস শ্রমিকের পরিবারের সদস্য কতো জন? গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে চাকরী হারানোয় এই মানুষগুলোর জীবনের কি প্রতিক্রিয়া হয়েছে?

মিডিয়াগুলো কি এ নিয়ে কাজ করতে পারতো? এখন কি করতে পারে? মানুষের জীবনের গল্প কি আমাদের সত্যিই এখন আর আকর্ষণ করে না?

আমরা অভিজাত বিপনী বিতানের চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা দেখে ‘উন্নয়নের রুপকথায়’ বিভোর থাকি, সেই বিপনী বিতানের ভেতরের অন্ধকারটার দিকে কখনোই তাকাতে চাই না। শহরটা, দেশটা তো আর অভিজাত বিপনী বিতান নয়, সেখানে রঙিন আলোর চোখ ধাঁধানো খেলা নেই, তবু আমরা সাদামাটা জীবনের গল্পগুলোকে এড়িয়ে যাই কিভাবে?

লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর