ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

অর্থনীতিতে সার্বিকভাবে চাহিদা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে
ড. নাজনীন আহমেদ
ড. নাজনীন আহমেদ

চাহিদা ও যোগান চক্রের মধ্য দিয়ে একটি অর্থনীতি চলে। এর কোনো একটিতে যদি আকস্মিক কোনো পরিবর্তন ঘটে তাহলে অর্থনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে থাকে। একটা দেশের বিনিয়োগ কতটুকু হবে, প্রবৃদ্ধি কতটা হবে, তা আরও অনেক উপাদানের সাথে সাথে নির্ভর করে সেই অর্থনীতিতে চাহিদা কতটা আছে তার উপরও। চাহিদা-বিনিয়োগ-উৎপাদন বা যোগান-কর্মসংস্থান-মানুষের আয় বৃদ্ধি-চাহিদা-আবার বিনিয়োগ, এভাবেই একটা চক্রের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির চাকা ঘোরে। 

এই মুহূর্তে করোনার জন্য আমাদের অর্থনীতিতে aggregate demand বা সার্বিকভাবে চাহিদা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ আমরা কেউই বাইরে যাচ্ছি না, কেনাকাটা করছি না। ফলে অর্থনীতিতে যে উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, কর্মসংস্থান এগুলো হতে পারতো তা কিছুটা ধীর গতিতে পড়েছে। কাজেই এ সময় যদি কেউ অনলাইনে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করেন তাকে নেতিবাচকভাবে না দেখে অর্থনীতির স্বার্থে আমাদের বরং তা ইতিবাচকভাবে দেখা দরকার। কারও যদি ইচ্ছে হয় তিনি এই অনলাইন শপ থেকে কিনবেন, এটাকে আমরা কেন খারাপ ভাবে দেখছি? 

একটু ভাবেন, অনলাইনে যারা বিভিন্ন জিনিষ বিক্রি করেন তাদেরকে কিন্তু এই জিনিসগুলো কিনে আনতে হয়েছে, তাদের সাথে অনেক লোকজন কাজ করেন তাদের বেতন দিবে কে? আমি কিংবা আপনি? কাজেই আমি বলব, যাদের যেটা প্রয়োজন অনলাইনে কেনাকাটা করেন এবং অর্থনীতির গতি যেন স্বাভাবিক থাকে সেটা তে আমরা ঘরে বসেই কিছুটা অবদান রাখি চলেন। 

ঘরে থাকুন, নিজের জন্য কিনুন এবং আপনার আশেপাশের দরিদ্র মানুষদের জন্য কিনুন প্লিজ। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ এগুলো সব একা কিনে বসে থাকবেন না প্লিজ, মাত্রাতিরিক্তও কিনবেন না।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন



এই পাতার আরো খবর