ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হাওর অঞ্চলে ধান কাটার ব্যবস্থা করা হোক
মেজর (অবঃ) মো. আখতারুজ্জামান

কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ , সুনামগঞ্জ ও সিলেটের হাওর এলাকায় এবং বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। মাঠ ভরা পাকা সোনালী ধান। এবার ধান উৎপাদন ভাল হয়েছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোন বালামুসিবত দেখা যায়নি। বলা যায় এবার ধান দেখে কৃষক খুশিই ছিল। কিন্তু করোনাজনিত সমস্যায় তাদের সেই খুশি হারিয়ে যেতে বসেছে। পাকা ধান মাঠ থেকে কাটাই- মাড়াই করে ঘরে তুলতে প্রচুর কৃষি শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এই সময় দূরদুরান্ত এবং বাইরের বিভিন্ন জেলা হতে ব্যাপকভাবে কৃষিশ্রমিকের সমাগম হত। কিন্তু এবারের করোনা জনিত কারণে কৃষিশ্রমিকেরা হাওড়ে আসতে পারছে না। ফলে ধান কাটাতে কৃষকের হিমসিম খাচ্ছে। সামনে বৈশাখ মাস। যে কোন সময় উত্তরের ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের ঢল নেমে এসে সারা হাওড় প্লাবিত করে পাকা ধানসহ সকল জমি তলিয়ে দিতে পারে। তাহলে শুধু কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এলাকার তাবৎ জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

একদিকে করোনার ভয় - অন্য দিকে পাকা ধান পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তাই এলাকার কৃষক মনে করে হাওড়ে ধান কাটানোর ব্যবস্থা করার জন্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় কৃষিশ্রমিকদের মাস্ক ও প্রয়োজনে পিপিই পরিয়ে ধান কাটার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এই সময় কৃষিশ্রমিকদের আয় অনেক বেড়ে যাবে। তাদেরকে ত্রাণ বা বিনা পয়সায় মাস্ক ও পিপিই দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সরকার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারলে তারা নিজেরাই কিনে নিতে পারবে। কাজেই জনগণের ঝুঁকি নিয়ে হলেও কৃষিশ্রমিকদের হাওড় অঞ্চলে যাওয়ার পথ সুগম করে দেয়া হোক এবং সকল কৃষিশ্রমিকদের জন্য মাস্ক ও পিপিই এর ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে করা হোক। সময় খুব কম।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: সাবেক সংসদ সদস্য

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর