করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে কার্যকর একটি ভ্যাকসিন বের করতে কানাডাসহ বিশ্বের ৭০টি গবেষণা দল দিনে রাতে কাজ করে যাচ্ছে। সেই গবেষণায় আশাবাদী হওয়ার মতো তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। গবেষণা থেকে ল্যাবরেটরি, ল্যাবরেটরি থেকে প্রাণীর দেহে, প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ- এইটুকুও কি কম অগ্রগতি!
কানাডিয়ান বিশেষজ্ঞ ড. স্কট হালপেরিন বলেছেন, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কিন্তু একই ধরনের কাজ করে এরকম ভিন্ন ভিন্ন ভার্সনের ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে। হতে পারে ৫,৬, ৭, ৮, ১০টি ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে। আমাদের সামনে পুরো মানবজাতি, বিশ্বের মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
গবেষকরা বলছেন, যে কোনো ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য উপযোগি ঘোষণার আগে ক্লিনিক্যাল টেস্টের দুটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। ক্লিনিক্যাল টেস্টের প্রথম ধাপে দেখা হচ্ছে ভ্যাকসিনটি মানব শরীরের জন্য নিরাপদ কী না। ৪০ থেকে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিন দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া দেখা হয়। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে শুরু হয় দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল টেস্ট। এই দ্বিতীয় ধাপটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একসাথে অনেক মানুষের শরীরে এই ভাকসিনটার প্রতিক্রিয়া দেখা হয় এই ধাপে।
চীনের ক্যানসিনো বায়োলোজিস্ট নামের কোম্পানিটি তাদের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। চীনের আরেকটি কোম্পানি প্রধম ধাপের টেস্ট শুরু করছে। আমেরিকার একটি কোম্পানি গত সপ্তাহে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে।
এই পরীক্ষা নিরীক্ষা কতোদিন চলবে! গবেষকরা সুনির্দিষ্টভাবে তার কোনো উত্তর দিতে পারছেন না। তবে তারা বলছেন, শুরুতে ১২-১৮ মাসের যে সময়সীমার ধারণা দেয়া হয়েছিলো- তার চেয়ে কম সময় লাগবে বলে তারা মনে করছেন।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, নতুন দেশ ডটকম।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন