ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কৃষকদের আতঙ্কিত না করে বাঁধ মজবুত রাখেন
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

বিআর-২৯ জাতের ধান পাকতে সুনামগঞ্জ আরও এক সপ্তাহ দরকার। এই ধান উচ্চ ফলনশীল। তবে ধান পাকতে অন্য জাতের ধানের চেয়ে বেশি সময় লাগে। আশার বিষয় হল, সুনামগঞ্জে গতকাল সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১.৯৩ মিটার। সাধারনত উচ্চতা ৫.৫ মিটার হলে বিপদসীমার উপরে বলা হয়। বিআর ২৯ ছাড়া অন্য জাতের ধান ঘরে উঠানো নিয়ে এখন তেমন শঙ্কা নেই। বিআর-২৯ জাতের ধান পাকতে সময় বেশি লাগে বলে সেটি রোপণও করা হয় হাওরের তুলনামূলক উঁচু স্থানে। আমার নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর নিয়ে বিশাল আয়তনের করচার হাওর। ধানের মা খ্যাত করচার হাওরের ধান এখন কৃষকের আয়ত্বে আছে। এই হাওরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করলেও স্থানীয় লোকজন নিজেদের অভিজ্ঞতায় বলছেন সমস্যা হবে না।

এখন নজরদারী বাড়ানো দরকার ফসল রক্ষার ডুবন্ত বাঁধের প্রতি। আগাম বন্যা বা ফ্লাশ ফ্লাড থেকে ফসল রক্ষায় এ সমস্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আগে ঠিকাদারী ব্যাবস্থায় বাঁধ নির্মাণ করা হত। ২০১৭ সালের ফসলহানীর পর ঠিকাদারী বাতিল করা হয়। স্থানীয় লোক দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করা শুরু হয়। তদারকি করেন জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ঠিকাদারী ব্যবস্থার সময়ের চেয়ে এখন বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দও বেশি। এবছর বাঁধ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ শত ৩২ কোটি টাকা। যথেষ্ট পরিমাণ বরাদ্দ। বিপুল বরাদ্দের বাঁধের কাজ সঠিক হয়ে থাকলে তেমন শঙ্কা কথা নয়। বড় বন্যা না হলে ধান কাটার মত সময় বাঁধগুলো পানি আটকে রাখার কথা। যারা বাঁধের সাথে সংশ্লিষ্ট তারা বাঁধে যান। কৃষকদের আতঙ্কিত না করে বাঁধ মজবুত রাখেন। এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান। ইনশাআল্লাহ, আমাদের ফসল ঘরে উঠবে আল্লাহর রহমতে।

লেখক: জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ এবং সংসদ সদস্য

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর