ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে স্বাস্থ্যখাতে দেশ অনেক এগিয়ে যেত
ডা. মোহাম্মদ শরীফ

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন চৌধুরী নাছিমকে। দুঃসময়ে সবসময় দেশের জনগণ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তথা স্বাধীনতার পক্ষের জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য। সেই কলেজ জীবন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব। তারপর নাছিম চট্টগ্রাম বিশ্বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আর আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তারপর অনেক ঘটনা দুর্ঘটনার পর ১৯৯৬ এ ভোটের দাবির আন্দোলনের সময় আমি চট্টগ্রামের পটিয়ার মেডিকেল অফিসার, নাছিম তখন চট্টগ্রামের এডিসি। ঢাকায় তখন জনতার মঞ্চের তুমুল আন্দোলন চলছে। আর চট্টগ্রামে তখন মরহুম সাবেক সফল মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ভোটের দাবির আন্দোলন। আমরা যারা সরকারি চাকরি করি আমাদেরকে একত্রিত করে তখন চট্টগ্রাম নিউমার্কেটের সামনে জনতার মঞ্চে নিয়ে গিয়েছিল নাছিম। ঐসময় চিকিৎসকদের পক্ষে ছিলাম আমি, সিরাজ ভাই এবং ছোট ভাই নাছির এবং সরফরাজ ভাই। আমরা মঞ্চে বক্তব্যও রেখেছিলাম। তারপর আরও অনেক ইতিহাস। চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, দল সরকারে থাকুক বিরোধী দলে থাকুক সবসময় নাছিমকে আমরা পেয়েছি। এখন সারা পৃথিবী করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। আমরাও করছি। এদেশের একজন সুশীল আমেরিকার নির্বাচনে ডোনেশন দিয়েছেন, মুসা বিন শমশেররাও এদেশের, তাছাড়াও আরও অনেক বিত্তবান (বৈধ, অবৈধ পথে টাকা উপার্জনকারী) আছেন, তাদের থেকে গুটি কয়েকজন ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। এই সময়ে আবার এগিয়ে এসে ফেনীর মতো ছোট জেলায় নিজেই আইসিইউ করে দিল সেই নাছিমই, এইসময়ে যেটা অতি জরুরি। জানি না সামনে আমাদের কি পরিণতি হয়। আল্লাহ না করুন, দেখা যাবে আইসিইউ এর অভাবে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে, যেরকম হয়েছে ইউরোপ আমেরিকাতেও। আমি একজন Anaesthetist হিসেবে আমার আইসিইউ সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা আছে। আইসিইউ এর দক্ষ জনবলও লাগবে। নাছিমের সাথে আলাপ করে জানলাম তারও ব্যবস্থা করেছে। এভাবে যদি বিত্তবানরা এগিয়ে আসত তাহলে করোনা ছাড়াও স্বাস্থ্যখাতে দেশ অনেক এগিয়ে যেত। আবারও কৃতঙ্গতা এবং ধন্যবাদ জানাই দোস্ত নাছিমকে। তুমি ভাল থাকো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, দেশের জনগণসহ আমরা সবাই ভাল থাকি, সুস্থ থাকি এই দোয়াই আমরা সবাই সবার জন্য করি।

লেখক: পরিচালক (এমসিএইচ সার্ভিসেস), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা  



এই পাতার আরো খবর