ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কে কখন খবর হয়ে যাই কেউ জানি না
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ

প্রবল ইচ্ছে নিয়ে থাকি। ভালো কিছুর। গোপন প্রত্যাশা মনের ভেতর প্রতিনিয়ত কাজ করে। শুভ সংবাদের। শৈশব থেকে ছুটে বেড়ানো মানুষ আমি। পাড়ায়, সড়কে, মাঠে, মিছিলে, নাটকের মঞ্চে মুক্তভাবে বেড়ে উঠা হাওরের মফস্বল শহরের মানুষ আমি। 

করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধিতে বড় কষ্টে আছি। দায়িত্ববোধ থেকে বের হই অনেক নিয়ম মেনে। মানুষের সাথেই সখ্যতা আমার। এখন নিজেকে মুক্ত মানুষ মনে হয় না। তবুও মানি। বাড়িতে মানুষ আসেন। আসাই স্বাভাবিক। কত জনের কত সমস্যা। কঠোর হতে পারি না। ফলে সব সময় পুরো মানতে পারি না। মাসুম সন্তানের মুখ চোখে ভাসে। মানতে প্রবল চেষ্টা করি। বেঁচে থাকায় আনন্দ। প্রিয়জনদের নিয়ে বেঁচে থাকা পুরো সময়টাই আনন্দের আমার কাছে। 

তারপরও অনিশ্চিত সব। এই মুহূর্তে প্রতিদিন পরিচিতজনের সংক্রমণ আর মৃত্যুর  খবর পাচ্ছি। কে কখন খবর হয়ে যাই কেউ জানি না। দহনকাল চলছে। পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে বর্তমান সময়ে এসে অনেক কিছু ভাবনাতে আসে।

ইতালি থেকে লোক আসলেন। তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত হল না। সবাই ছড়িয়ে গেলেন। সংক্রমণ ছড়ালো পরিবারের সদস্য, আত্মীয়দের সংক্রমণের মাধ্যমে। সামাজিক সংক্রমণের শিকার স্থান গুলোকে বিচ্ছিন্ন করা গেল না। এরা অন্য স্থানে গেলেন। সংক্রমণ ছড়ালেন।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ বেশি সংক্রমণ স্থানকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ করা গেল না। প্রয়োজন ছিল কঠিনতম লকডাউন বা কারফিউ। হয়নি। সর্বত্রই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা হল। তেমন কাজ হয়নি। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখলাম। মাইকিং করে সতর্ক করা হল। কাজ হয়নি। হাট-বাজার, গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছি। অনুরোধ করেছি। বলেছি সতর্ক হওয়া দরকার। কেন দরকার তাও বলেছি। কেউ মানলেন, কেউ মানলেন না।

সর্বশেষ যখন আক্রান্ত বাড়ছে তখন ছুটি শেষ হচ্ছে। বেশি আক্রান্তের সময় সব খুলে দেয়া হচ্ছে। এর মাঝে ঈদ গেল। কেনাকাট হল। কর্মস্থল থেকে বাড়ি। আবার বাড়ি থেকে কর্মস্থল। প্রবল মেলামেশা।এই মেলামেশার ফলাফল জানার আগেই সব খুলে দিয়ে আরো মেলামেশা। সব মিলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সবাই।

মিডিয়ার কারণে আমাদের সামনে অনেক দেশের মৃত্যুর মিছিল দৃশ্যমান। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি হয়েছিল। উনারা বিশেষ পরামর্শ কি দিয়েছেন জানি না। তবে বিশেষজ্ঞদের বাইরে যারাই সামান্য খবর রাখি তারা ভালো নেই। এসব আমাদের কাছে  সুখকর নয়। পারলে লড়াই করে বাঁচো। না হয় হারিয়ে যাও। দয়া করে এমন কিছু যেন না হয়। জীবনের চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই। যে হারায় সে বুঝে স্বজন হারানোর বেদনা।

মানুষ ভুল করতে পারে। নেতৃত্ব সঠিক পথে টেনে আনবে। নিরাপদ রাখবে মানুষের জীবন।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন



এই পাতার আরো খবর