ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে একটা অডিট হলে ভালো হয়
শওগাত আলী সাগর

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে কি আছে, কি নাই তা কি আপনি জানেন? এই তথ্য সম্ভবত কেউ জানে না। কেউ কখনো খোঁজ করেনি- কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের স্টকে চিকিৎসা সামগ্রী কি পরিমাণে মজুদ আছে। সেই মজুদগুলো কবে থেকে আছে? নথিপত্রে যে সব ‘আছে’ বলে উল্লেখ করা হয়, তার সবই কি বাস্তবে স্টকে আছে? এইগুলো কেউ কখনো খতিয়ে দেখেছে বলে তথ্য পা্ওয়া যায় না।

এই যে এখন ‘আইসিউ নাই বলে হাহাকার চারদিকে, আইসিউর প্রয়োজনীয় কী পরিমাণ সামগ্রী গুদামে আছে? অনেকগুলোর তো শুনি প্যাকেটই খোলা হয়নি, ব্যবহারের মেয়াদও না কি শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পড়ে আছে গুদামে, অথচ এগুলো হাসপাতালে যাবার কথা ছিলো। কেউ কেউ বলেন, সেই এরশাদের সময়, বিএনপির সময়, আওয়ামী লীগের সময় কেনা, বিদেশ থেকে আনা ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী গুদামে পরে পড়ে নষ্ট হয়েছে। কেউ সেগুলোর খবর নেয়নি।

কেন্দ্রীয় ঔষধাগার স্বাস্থ্যখাতের অতি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সংস্থা হলেও এই সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে তেমন একটা আলোচনা হতে দেখা যায়নি। মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনা এই প্রতিষ্ঠানকে আলোচনায় নিয়ে আসে এবং স্বাস্থ্যখাতের বড় দাগের একটি দুর্নীতির সাথে প্রতিষ্ঠানটির নাম জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় সেখানে নতুন পরিচালক নিয়োগ হয়েছে এবং প্রশাসনের অত্যন্ত দক্ষ এবং সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত একজনকে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা বাতাসে বেড়াচ্ছে। তার কোনটা সত্য, কোনটা সত্য নয়, বাহির থেকে তা বলা মুশকিল। করোনাভাইরাসের শুরু দিকেই সরকার কি পরিমাণ পিপিই, মাস্ক সরবরাহ করেছে তার একটা হিসেব প্রকাশ করেছিলো। ঢাকার একটি পত্রিকা তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছিলো সরকারের হিসাবের চেয়ে বাস্তবের তথ্যে বিশাল ব্যবধান। এখনো শোনা যায়, নথিপত্রে যে পরিমাণ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর উল্লেখ আছে ঔষধাগারের স্টকের পরিমাণটা ভিন্ন। আমি নানা সূত্রে পাওয়া কথাটা এখানে বললাম। আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে একটা অডিট হলে ভালো হয়। নিদেন পক্ষে নতুন পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের সময় নথি আর স্টকের বাস্তব অবস্থাটা মিলিয়ে নিতে পারেন। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সত্যিকারের অবস্থাটা সবার জানা হোক না।

আর একটা কথা। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে যাদের পোস্টিং তারা কত বছর ধরে এই খানে আছেন- তার একটা পর্যালোচনা হ্ওয়াও দরকার।

লেখক: নতুন দেশ ডটকমের প্রকাশক ও সম্পাদক

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর