ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

এবার দল থেকে বহিষ্কারের পথে আহামি!
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন
অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টন

গত ১৩ মে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যখাতে নিম্নমানের পিপিই ক্রয়সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার পর থেকেই একটি মহল আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আছে। সিডনির হুন্ডি সিন্ডিকেট বলা শুরু করলো, ঢাকা থেকে এক মন্ত্রী নাকি ফোন করে আমার এই সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শুনে আমি একটু অবাক হলাম। যদ্দুর জানি, আমাদের দেশের মন্ত্রীরা খুব ব্যস্ত থাকেন। আমার মত তুচ্ছ মানুষের কোন ব্যাপারে তাদের আগ্রহ থাকার কথা না। তাদের সেই সময়ই বা কোথায়? পরে ঢাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পুরো ব্যাপারটাই ভুয়া। এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। পুরোটাই সিডনির ল্যাকেম্বাস্থ হুন্ডি সিন্ডিকেটের অপপ্রচার। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা নাকি এরকম প্রায়ই এমপি-মন্ত্রীদের নাম ভাঙিয়ে থাকেন। তবে এবার ভাঙাতে গিয়ে একটু ধরা খেয়েছেন আর কী! করোনাকালে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দিনকাল ভাল যাচ্ছে না। তাছাড়া বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে সরকার যেহেতু ২% প্রণোদনা দিচ্ছে, তাই মানুষজন আজকাল হুন্ডির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

কাহিনীর এখানেই শেষ নয়। আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বিদেশের এক লাইভ অনলাইন টক শো’তে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এরকম লেখার জন্য নাকি আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত। এটা যে লেখা না, স্রেফ একটা সাক্ষাৎকার ছিল সেটা নেতা কেন যে বুঝতে পারলেন না! কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, মাস্ক কেলেংকারিতে জড়িত থাকার কারণে ওই নেতার নামে মামলা হয়েছে।

এতক্ষণে বুঝতে পারলাম, কেন নেতা আমার বহিষ্কার চেয়েছিলেন। আসলে তো ঠিকই। যেখানে আমার নেতা স্বয়ং জড়িত, সেখানে দলের সামান্য একজন কর্মী হয়ে কোন স্পর্ধায় আমি মাস্ক কেলেংকারির বিপক্ষে বলি?

খুব টেনশনে আছি। দলটা বুঝি আর করা হবে না। সরি নেতা। আমার বড্ড ভুল হয়ে গেছে

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর