ঢাকা, সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলে সু চি আবার গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠবেন’
শওগাত আলী সাগর

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিষয়টির দিকে তাকাতে হবে মাথা থেকে রোহিঙ্গা শব্দটিকে সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে। তা না হলে বিভ্রান্তিতে ঘুরপাক খেতে হবে। পশ্চিমা দেশগুলো ইতিমধ্যে এটিকে ‘গণতন্ত্রের উপর হামলা’ হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।

জো বাইডেনের আমেরিকা সরাসরি বলে দিয়েছে, পরিস্থিতি ‘স্থিতাবস্থায়’ ফিরিয়ে না দিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে U.S. "will take action against those responsible if these steps are not reversed" -এই কথাগুলোই বলা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ৮ নভেম্বরের ‘গণতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে’র ফলাফল মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জো বাইডেনের নেতৃত্বে আমেরিকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।

আমেরিকার নতুন পরাষ্ট্রমন্ত্রী এতোটাই বিচলিত হয়েছেন, মিয়ানমারের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দেয়া বিবৃতিতে তিনি দেশটির পূর্বের নাম ’বার্মা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি ‘বার্মিজ সেনাবাহিনীর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই’ ‘বার্মার জনগণের’- শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। এইগুলোকে কি ‘তাড়াহুড়াজনিত’ ভুল বলবো? আমি তা বলতে রাজি নই। আমার কাছে এটি একটি ‘রেটরিক’ এবং ঈঙ্গিতপূর্ণ ‘রেটরিক’।

মিয়ানমারে আমেরিকা কি ‘ব্যবস্থা’ নেবে- সেটি পরিষ্কার হতে আরও সময় লাগবে। মিয়ানমারের এই ঘটনা নিয়ে উপমহাদেশে নতুন কোনো রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেবে কীনা- সেটিও এতো তাড়াতাড়ি বলা যাবে না। তবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুচির ভাবমূর্তি পূনরুদ্ধারের একটি সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চির ভাবমূর্তিতে যে কালিমা কালি লেগেছিলো, সেগুলো ধুয়ে মুছে যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে নতুন সহানুভূতি এবং গ্রহণযোগ্যতা। জো বাইডেনের আমেরিকা থেকে শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সু চি আবার গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে উঠবেন- মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়ায়।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর