ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চাঁদের আলোয় মোড়ানো দিনগুলো
একে এম শোয়েব
একে এম শোয়েব (বা থেকে প্রথম)

আশীর্বাদের চাঁদের আলোয় মোড়ানো দিনগুলো। মহামারীর ভয়াবহতা পৃথিবীর হৃদকম্পনকে নাড়িয়ে দিয়ে সমস্ত সম্পর্কগুলোকে এলোমেলো করে দিয়েছে। নতুন এই ভাইরাসের কাছে যখন আমরা প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছি তখন বিবেকের আশীর্বাদে দীর্ঘ পথ চলায় হারাতে পারেনি আমাদেরকে। কিন্তু আকাশ ভাঙা ভয়াবহতা নিয়ে আর অসহায়ত্বের চাদরে ঢেকে পুরা পরিবারের সবাই যখন ভয়াবহ অজানা রোগে আক্রান্ত (শ্রদ্ধেয়া মা, সহধর্মিণী, একমাত্র বোন শম্পা ও আমি)। তখন কোভিড বিশেষায়িত চিকিৎসার এক অসাধারণ প্রফেশনাল প্লাটফর্ম যেখানে অর্থ নয়, কীর্তি নয়- সেবা, ঔষধ আর নির্দেশনা প্রতিনিয়ত আশা দেখিয়েছে। মহামারীতে আক্রান্ত রোগীকে ভালো করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতাল দাঁড়িয়ে আছে রাজধানীর বুকে মাথা উঁচু করে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে।

এখন করোনার চলমান পরিস্থিতিতে ইউরোপে আশাভঙ্গ। দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে গত ২ মার্চ থেকে এই পর্যন্ত আমাদের পুরো পরিবারকে যে প্রাতিষ্ঠানিক, মানবিক ও সামগ্রিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যে একটু একটু করে সুস্থ করে তুলতে পেরেছে- তার জন্য চিকিৎসক কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা আর তাদের পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, আর যোগ্যতাকে আমরা স্যালুট জানাই।

বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন মানবিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ভয়াবহতম এই মহামারী মোকাবেলায়। তাদের সুযোগ্য মেধা, মনন, অর্থ ও কষ্টকে সমন্বিত করে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বিপদসংকুল মুহূর্তে পাশে দাঁড়ানোর শপথে বলিয়ান পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসা সেবায় বাংলাদেশ পুলিশের শ্রেষ্ঠ, অভিজ্ঞ, দক্ষ ও মেধাবী চিকিৎসক দল এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। সেবার এই অবারিত দ্বার খুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে পুলিশ প্রশাসন মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলো যেখানে তারা সফল হল।

এই প্রতিষ্ঠানের জন্য দু’হাত তুলে প্রার্থনা করি বিধাতার কাছে, এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকল মেধাবী মননশীল, মানবিকতার উজ্জ্বলতায় উচ্চতর পুলিশ প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও। যাদের কঠোর ও কঠিন তত্ত্বাবধানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কোভিড মহামারী রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নতুন করে বাঁচার অণুপ্রেরণা জোগায়।

আজকে যখন বাসায় ফিরি তখন গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিলেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ। ২৮ দিনের এই জীবন যুদ্ধে দেখেছি পরিবারের মানুষগুলো, সন্তানেরা কিভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের সকল বন্ধুরা গভীর মমতায় ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিয়েছিল সাহস যুগিয়েছিল প্রতিনিয়ত। আমার বন্ধু, চারপাশের মানুষগুলো কি আশীর্বাদের হাতই না বুলিয়ে দিয়েছিল... এত ঋণ কি করে শোধ করি? শুধুই প্রার্থনা সবাই ভালো থাকুক।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) 

লেখক : এনডিএফ বিডি’র চেয়ারম্যান (ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর