ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তরুণরাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে'
ইফতেখায়রুল ইসলাম

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদক বিরোধী ফোরামের সদস্যদের সাথে আমার পরিচয় কয়েক বছর আগে। সম্ভবত আমি যাত্রাবাড়ীতে কর্মরত অবস্থায় তাদের আয়োজিত প্রথম মাদক বিরোধী সমাবেশে প্রথম অংশগ্রহণ করি। 

খুব বিস্মিত করে দেয়ার মতো একটি কাজ তাঁরা প্রতিবার আমার সাথে করে যাচ্ছে! এই আয়োজনে অনেক বিদগ্ধ ব্যক্তিত্বের মাঝে আমাকে তাঁরা প্রতিবার প্রধান অতিথি নির্বাচন করেন। সম্মানিত বিশেষ অতিথিগণের পাশে আমি যখন আমার নাম প্রধান অতিথি হিসেবে দেখি। আমি ভীষণ লজ্জিত হই। প্রত্যেকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার, উপ-উপাচার্য স্যার, রেজিস্ট্রার স্যারসহ সকলে আমাকে এত উষ্ণভাবে গ্রহণ করেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলি। একই অনুষ্ঠানস্থলে ভিসি স্যার যখন আমাকে বলে, 'ইফতেখার প্রধান অতিথিকে মাঝে বসতে হয় , আমি তখন আরও সংকুচিত হয়ে এক কোণায় সরে এসে বসি'! শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণের মাঝে আমার অবস্থান মাঝে তো হতে পারে না।

অনুষ্ঠানজুড়ে আমার অস্বস্তি কাটাতেই কিনা জানি না ভিসি স্যার ও প্রো ভিসি স্যার পুরো পরিবেশকে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা আবহে নিয়ে আসেন। 

স্ট্যামফোর্ডের ছাত্র-ছাত্রীদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে অনুসরণযোগ্য বলে আমি মনে করি। তাঁরাই সম্ভবত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে একটি মাদক বিরোধী সংগঠন তৈরি করেছে এবং একইসাথে বছরজুড়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিচ্ছে সকলকে সচেতন করতে। মাদকের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ আসলে সকলের, তাই সকল দিক থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেই এর একটি যথোপযুক্ত অবস্থান তৈরি হতে পারে। প্রকৃত অর্থে এর পেছনে তরুণরাই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। যে কাজটি করে চলেছে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই সংগঠন ও তার সদস্যগণ। তাঁদের মতো অন্যান্য সকলেই যদি এগিয়ে আসে তাহলে মাদকবিরোধী একটি সামাজিক বয়কটের জোরালো ডাক আসতে পারে... যার ফলে, মাদকের ভয়াবহতা আরও ব্যাপকভাবে উঠে আসবে এবং বর্তমান প্রজন্মসহ সকলেই আরও সচেতন হয়ে উঠবে। এই সচেতনতার জায়গাটিই দরকার।

রাষ্ট্রীয়ভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা চলছে, সেটি প্রতিপালনে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে এলে অচিরেই এর নির্মূল সম্ভব নাহলেও একটি সহনীয় অবস্থানে তা আনা সম্ভব!

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও তাঁদের এই সময়োপযোগী সংগঠনের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। এত চমৎকার একটি সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সকলকে। 

আপনাদের অশেষ সৌজন্যতায় আমার মনে হয়েছে আমি হয়তো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। যারাই এই অনুষ্ঠানে আমার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শপথ নিয়েছেন, তারা যেন নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন- সেটিই প্রত্যাশা করছি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর