ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

‘কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠানের ঘটনায় সরকারকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে’
শওগাত আলী সাগর
শওগাত আলী সাগর। ফাইল ছবি

‘ধরেন, ঢাকায় কবীর সুমনকে গান গাওয়ার অনুমতি দেয়নি বিএনপি সরকারের পুলিশ। জাস্ট একটু কল্পনা করেন, মানে এইভাবে ভাবেন, এইবার চোখ বন্ধ করে পুরো পরিস্থিতিটা কল্পনা করেন তো! আপনার নিজের প্রতিক্রিয়াটা কী হতো! আপনি কী বলতেন!’- একটানা তিনি কথাগুলো বলে যান, আমাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই। ‘কিন্তু ঘটনাটা ঘটেছে আওয়ামী লীগের শাসনামলে, আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ কবীর সুমনকে ঢাকায় গান গাইতে দেয়নি।’ তিনি আমার কোনো মতামত শুনতে চাইলেন না, নিজের মতামতটা আমার উপর ঝেড়ে দিলেন।

কবীর সুমনকে গান গাইতে না দেওয়ায় যারা ব্যথিত হয়েছেন, ক্ষুব্ধ হয়েছেন- তাদের সিংহভাগই কিন্তু বর্তমান সরকারের সমর্থক, কিংবা আওয়ামী লীগের রাজনীতির প্রতি সহানুভূতিশীল। অর্থ্যাৎ কবীর সুমনকে গান গাইতে না দিয়ে পুলিশ আওয়ামী লীগারদের অনুভূতিতেই আঘাত দিয়েছে, সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী গোষ্ঠীকে বিব্রত করেছে। তা হলে এই পুলিশ আসলে কার হয়ে কাজ করেছে! কাদের পারপাস সার্ভ করেছে।

কবীর সুমনকে গান গাইতে না দেয়ার ঘটনার সঙ্গে আমার গাইবান্ধার ঘটনাও প্রবলভাবে নাড়া দেয়। শুনেছি, সেখানকার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নাকি এমনিতেই বিজয়ী হওয়ার মতো অবস্থা। তা হলে ভোট কেন্দ্রে ‘দস্যুতার’ পরিস্থিতি তৈরি হলো কেন! স্থানীয় প্রশাসন সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করলো না কেন! নির্বাচন নিয়ে সরকারকে, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কী লাভ! 

এই যে একটা পরিস্থিতি এখন তৈরি হয়েছে তাতে কী সরকারের উপকার হয়েছে! গাইবান্ধার ঘটনায়, শাহবাগে কবীর সুমনের গানের অনুষ্ঠানের ঘটনায় সরকারকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। আর এই কাজটি করেছে স্থানীয় প্রশাসন আর পুলিশ। প্রশাসন আর পুলিশ কী চেয়েছে! তারা কী চায়!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/শফিক



এই পাতার আরো খবর