ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ব্র্যাড রেডেকপ কী শেষ পর্যন্ত সরকারের দিকে থাকলো না...
শওগাত আলী সাগর
শওগাত আলী সাগর

১. বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ। গ্রুপের চেয়ার ব্র্যাড রেডেকপ এমপিসহ এমপি, সিনেটর মিলিয়ে আটজন এতে সাক্ষর করেছেন। চিঠিটি যথাযথ কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে ব্র্যাড রেডেকপ এর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন। 

২. বাংলাদেশের নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধি, কূটনীতিকরা বিবৃতি, চিঠি দিয়েছেন। সেই সব চিঠি, বিবৃতির বক্তব্য থেকে কানাডিয়ান জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্নরকমের। কানাডিয়ান জনপ্রতিনিধিরা তাদের চিঠিতে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সকল রাজনৈতিক দলকে স্বচ্ছভাবে সম্পৃক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের বিকাশ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে যাননি। 

৩. গ্রুপের চেয়ার ব্র্যাড রেডেকপ এমপির সাথে কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের ভালো সম্পর্ক এবং যোগাযোগ আছে- সেটি হাই কমিশনের ফেসবুক পেজ থেকে ধারণা পাওয়া গেছে। কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশন তাকে ‘বাংলাদেশের ভালো বন্ধু’ হিসেবে বিভিন্ন সময় উল্লেখ করেছে। ‘হাই কমিশনের দৃষ্টিতে তাদের ‘ভালো বন্ধুটি’ এখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে কানাডিয়ান সরকার এবং সংসদে বিশেষ ভূমিকা রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন। 

চিঠিটি পাঠানোর পর মি.ব্যাড রেডেকপকে কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম। তার মুখপাত্রের মাধ্যমে তিনি সেগুলোর উত্তর দিয়ে বলেছেন, We wish to see the upcoming electoral process remains free, fair and peaceful, involving all political parties in a transparent manner.”

৪.মি. রেডেকপ কানাডায় পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারের বিশেষ প্রোগ্রাম স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম (এসডিএস) এ অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে প্রবল দেনদরবার করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় হাউজ অব কমন্সে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন, মোশন এনেছেন। সেই রেডেকপ বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান  রাজনীতিকদের মধ্যে জনমত গঠনের কাজে কেন নামলেন!

৫. বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কানাডা বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী কানাডা সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন – এমন খবর আমরা জেনেছি। ফয়সাল চৌধুরীকে বিএনপি সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। দেশের বাইরে থেকে সম্ভবত তিনিই প্রথম বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। যদ্দুর জানা যায়, কানাডা-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ এর প্রায় সবার সাথেই তিনি যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফ করেছেন।

৬. হাই কমিশনের 'ভালো বন্ধু' ব্র্যাড রেডেকপ কী শেষ পর্যন্ত সরকারের দিকে থাকলো না, কেন!

লেখক: প্রকাশক ও সম্পাদক, নতুন দেশ ডটকম

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত) 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন



এই পাতার আরো খবর