মানুষ চাঁদে পা রাখার পর কেটে গেছে অনেক অনেক অনেক বছর। এতোদিন চাঁদে গেছে মানুষ মহাকাশযানে চড়ে। এখন নাকি লিফটে বা এলিভটরে ঢুকে বোতাম টিপে দিলেই সাঁই করে চলে যাওয়া সম্ভব! রসায়নের এক যুগান্তকারী আবিষ্কার নাকি আশা জাগাচ্ছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনে।
মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে স্পেস এলিভেটরের ধারণা অবশ্য নতুন নয়। পৃথিবী থেকে কৃত্রিম উপগ্রহে যাওয়া, মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া বা চাঁদে পৌঁছনোর জন্য বার বার মহাকাশযান উড়িয়ে বিপুল খরচ করার চেয়ে, স্থায়ী স্পেস এলিভেটর বানিয়ে নেওয়ার কথা মহাকাশ গবেষকরা অনেক আগেই ভেবেছিলেন। কারণ সে রকমটা সম্ভব হলে মহাকাশে যাওয়ার পদ্ধতিও অনেক সহজ হত, গবেষণার প্রয়োজনে যখন তখন মহাকাশে যাওয়া যেত। কিন্তু স্পেস এলিভেটর তৈরির চিন্তা মাথায় এলেও তা বাস্তবায়ন ততটা সরল নয়। এটা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ নানা রকমের। সবচে' বড় চ্যালেঞ্জ উপযুক্ত থ্রেড বা রশি তৈরি করা।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এবার এমন থ্রেড আবিষ্কার করে ফেলেছেন, যা পৃথিবীর এত দিনের ইতিহাসে আবিষ্কৃত সবচেয়ে মজবুত বস্তু। অন্তত তেমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের। এই থ্রেডের নাম দেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড ন্যানো থ্রেড। হীরার বজ্রকাঠিন্যের কথা মাথায় রেখেই এমন নামকরণ। রসায়নের অধ্যাপক জন ব্যাডিং-এর নেতৃত্বে এই গবেষণা হয়েছে। উদ্যোগ যদি ঠিক পথে এগোয়, তা হলে মহাকাশ গবেষণার অবিশ্বাস্য নতুন দিগন্ত তো খুলবেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা