মানুষের জীবনে কত কিছুই না করার শখ হয়। যেমন- মাছ ধরা, ছবি আঁকা, বাগান করা, বই পড়া ইত্যাদি। তাই বলে নিজের শরীরে ট্যাটু আঁকাও! হ্যাঁ, বিট্রেনের এক ব্যক্তি ট্যাটু এঁকে বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছেন। তার নাম টনি বার্টন। মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত কোথাও ফাঁকা নেই। সারা শরীর জুড়ে নানা রকম শিল্পকলা। যেন গোটা এশিয়াটাকেই সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন ব্রিটেনের সর্বাধিক ট্যাটু করা মানুষ টনি বার্টন। সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত চারবার গোটা শরীরকে ট্যাটু দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন টনি। বাদ রেখেছেন শুধু মুখ আর পায়ের পাতা দুটি। ট্যাটু করাটাই তাঁর নেশা।
১২ বছর বয়সে করিয়েছিলেন প্রথম ট্যাটু। সেটা ছিল একটা ছোট্ট ড্যাগার আর মাথার খুলি। আধ ঘণ্টার সেই ট্যাটু করতেই কেঁদে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। খুব তাড়াতাড়ি অবশ্য ব্যথার সঙ্গে দোস্তি করে নিয়েছিলেন। নেশা হয়ে দাঁড়ায় ট্যাটু করা। একটানা ১৮ ঘণ্টা ধরে করিয়েছেন দুই হাত জুড়ে ট্যাটু। টমের গোটা শরীর জুড়ে এখন ড্রাগন, বাঘ থেকে শুরু করে দেব-দেবী, নানারকম ঘরবাড়ি এশিয়ান আর্ট অসংখ্য থিম। ১৮ বছর ধরে বানানো তাঁর এই শিল্পকলা এখন রীতিমতো দেখার জিনিস। যেখানেই যান লোকে দাঁড় করিয়ে ছবি তুলে রাখেন ‘ট্যাটু ম্যান’-এর। তিনি যেন এশিয়ান সংস্কৃতির জলজ্যান্ত বিজ্ঞাপন। ট্যাটু অবশ্য টনির তিন ছেলে মেয়েদেরও বড্ড পছন্দের। ছোট ছেলেটি তো পেন দিয়েই গায়ে ট্যাটু এঁকে বলে বাবার মতো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব