ঢাকা, রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আত্মহত্যার জঙ্গল!
অনলাইন ডেস্ক

পিছনে মাউন্ট ফুজি। তার ঠিক নীচেই ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তৃত সবুজ ভূমি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, এ এক অপার সৌন্দর্য। কিন্তু প্রাকৃতিক এ নৈস্বর্গের আঁড়ালেই লুকিয়ে আছে মৃত্যুর হাতছানি।

জাপানে মাউন্ট ফুজির পায়ের কাছে এই যে বিস্তৃত জঙ্গল, তার নাম আওকিঘারা ফরেস্ট। প্রতি বছর এখান থেকে একাধিক লাশ, দেহাবশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। এই জঙ্গলটি পৃথিবীর অন্যতম সুইসাইড স্পট হিসেবে কুখ্যাত।

শুধু কি দেহ বা দেহাবশেষ? পুলিশের বক্তব্য, জঙ্গলের গভীরে কঙ্কালের ভিড় লেগে রয়েছে। গাছ এবং জংলার আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে তারা। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ।

বলা বাহুল্য, এটিই জাপানের সবথেকে ভুতুড়ে জায়গা। এবার এই জঙ্গল নিয়ে ছবিও করছে হলিউড। তবে জঙ্গলে শ্যুটিং করার অনুমতি মেলেনি।

কিন্তু কেন এই জঙ্গলকেই আত্মহত্যার জন্য বেছে নেন সকলে? জাপানিদের বক্তব্য, ১৬ বর্গমাইল দীর্ঘ এই জঙ্গলে বাস অশরীরীদের। তারাই ডেকে আনে জীবিত মানুষকে। সেই অশরীরীর ডাকও নাকি জঙ্গলের ভিতর থেকে শোনা যায়।

মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কী বলছে? বলা হয়, ফুজির পায়ের কাছে নিজেকে বলিদান দেওয়ার রীতি হয়তো কখনও ছিল। সেখান থেকেই এই ধারা চলে আসছে। আগে যা ছিল আত্মবলিদান, পরে তা-ই পাল্টে আত্মহত্যায় দাঁড়িয়েছে।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত গড়ে ৩০ জন করে বছরে আত্মহত্যা করতেন। কিন্তু ২০০৪ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটাই বে়ড়ে দাঁড়ায় ১০৮-এ। ২০১০ সালে ২৪৭জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, ৫৭ জন মারা যান।

আত্মহত্যা ঠেকাতে প্রশাসন জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। ''আপনার জীবন মূল্যবান'', ''আত্মহত্যার আগে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলুন'', ''প্রিয়জনের মুখগুলো দয়া করে মনে করুন''-গোত্রের কথাবার্তা লেখা রয়েছে তাতে।

বিডি-প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ



এই পাতার আরো খবর