কর্মব্যস্ত বা ব্যস্ত নন সব মানুষকেই কখনো দরকারে, কখনো সখের বশে কেনাকাটা করতে হয়। আজকাল দোকান, শপিং মলের পাশাপাশি অনলাইন শপিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেনাকাটা করার সময় দেখা যায় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য ৯৯, ১৯৯, ৫৯৯ বা ১৯৯৯ টাকা। কেন পণ্যের মূল্য ওরকম ধরা হয় ভেবেছেন কি?
মূলত এধরনের মূল্যকে বলা হয় সাইকোলজিক্যাল প্রাইসিং। অর্থাৎ এভাবে পন্যের মূল্য বসিয়ে কোম্পানি বা বিক্রেতা ক্রেতার মনে প্রভাব তৈরির চেষ্টা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো পণ্যের মূল্য শেষে ০ দিয়ে শেষ হলে ক্রেতার মনে হয়, এতো দাম! আর পণ্যের দাম যদি বেজোড় সংখ্যা দিয়ে শেষ হয়, বিশেষ করে ৯ দিয়ে শেষ হয়, তাহলে ক্রেতারা ধরে নেন এটাই সর্বনিম্ন মূল্য বা মূল্যটি যুক্তিসঙ্গত। ফলে ক্রেতারা ওই জিনিসটি কিনতে আগ্রহী হন।
এর পেছনে আরেকটা কারণও থাকে। সবার কাছে সবসময় খুচরো টাকা থাকে না। ১৯৯ টাকা দিয়ে পণ্য কেনার পর বিক্রেতা যদি তার কাছে খুচরো নেই বলে জানায়, ক্রেতা ওই ১ টাকার জন্য কিছু বলেন না। তার কাছে মনে হবে এক টাকাই তো। কিন্তু প্রতি পণ্যে যদি ১ টাকা করে অতিরিক্ত মুনাফা হয় তাহলে কত টাকা লাভ হবে!
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা