ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পাহাড়ে মৌসুমী ফলের মৌ মৌ গন্ধ
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পার্বত্যাঞ্চলে এবছর মৌসুমী ফলের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন বাহারী ফলের মৌ মৌ গন্ধ সুভাস ছড়াচ্ছে পাহাড়ী জনপদে। নানা ধরনের এসব রসালো মৌসুমী ফল এখন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। রাঙামাটির বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে এখন মৌসুমী ফলের সমারোহ লক্ষ করা যাচ্ছে । প্রতিদিন বসানো হয় মৌসুমী ফলের হাট। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ও উন্নত জাতের লিচু, কাঁচা আম, কাঠাঁল, আনারস ইত্যাদি।

অন্যদিকে আম, কাঁঠাল, আনারস বাজারে থাকলেও মানুষের আকর্ষণ এখন লিচুর দিকে। বর্তমানে প্রচুর লিচু উৎপাদন হচ্ছে পাহাড়ে। বোম্বে লিচু এখন চাষাবাদ হচ্ছে পাহাড়ে। ফলন ভালো হওয়ায় দেশী জাতের পরিবর্তে এখন পাহাড়ে অধিক চাষাবাদ হচ্ছে চায়না-২, চায়না-৩ জাতের লিচুর। বোম্বে লিচুর ফলনও হচ্ছে উচ্চ পরিমাণে। এবছর ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে উন্নতজাতের লিচু।  রাঙামাটি জেলা কৃষি তথ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল জানান, সদ্য মৌসুমে উপযুক্ত আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটিতে আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচুর প্রচুর ফলন এসেছে। এমধ্যে রাঙামাটি জেলা সদর, নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি, লংগদু, বাঘাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলাসহ লিচুর আবাদ হয়েছে প্রায় ১ হাজার চার ৪৯৫ হেক্টর, আম আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, আনারস ১ হাজার ৯৯২ হেক্টর ও কাঁঠাল আবাদ হয়েছে ৩হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমিতে। 

রাঙামাটির স্থানীয় মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী আজিজ জানান, আনারসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে- আম, কাঠাঁল, লিচু। তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিয় এসব মৌসুমী ফল উৎপাদন হচ্ছে প্রচুর। তাছাড়া এসব উৎপাদিত মৌসুমী ফল আম, কাঁঠাল ও আনারস ও লিচু বাজারে সয়ালব হয়ে গেছে। ক্রেতাদের চাহিদা অনেক। তাই লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে  হিমাগার নাথাকায় সংরক্ষণ করা যাচ্ছেনা এসব ফলমুল।

অন্যদিকে, রাঙামাটিসহ পার্বত্য তিন জেলায় কেবল সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও বাজারজাতের অভাবে প্রতি বছর কোটি টাকার ফলমুল পচে নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে তাছাড়া পার্বত্যাঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্তনৈতিক সম্ভবনা বিঘ্নিত হচ্ছে। সহজ পরিবহন ও সুষ্ঠু বাজারজাত ব্যবস্থা না থাকায় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে শুধু কাঁঠাল, আনারস নয়, পার্বত্যাঞ্চলে প্রতিবছর বিভিন্ন জাতের কোটি কোটি টাকার ফল নষ্ট হচ্ছে। তাই দাবী উঠেছে তিন পার্বত্য জেলায় হিমাগার স্থাপনের।

রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রমনী কান্তি চাকমা জানান, সা¤প্রতিক বছরগুলোয় পাহাড়ি জেলাগুলোয় ব্যাপক বিভিন্ন মৌসুমী ফলের চাষাবাদ হচ্ছে। ফলনও হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার অধিক। এ সম্ভাবনাময় কৃষি খাতকে উন্নয়নশীল করতে পার্বত্যাঞ্চলে মৌসূমী ফল সংরক্ষণ ও কৃষকদের স্বার্থে হিমাগার স্থাপন খুবই প্রয়োজন।

 

বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ মে, ২০১৬/ আফরোজ



এই পাতার আরো খবর