ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

প্রাণের উৎস খুঁজতে নাসার নতুন অভিযান
অনলাইন ডেস্ক

পৃথিবীতে প্রাণের উৎস নিয়ে বিতর্কের শেষ আজ অবধি হয়নি। চলছে পরীক্ষা, হচ্ছে গবেষণা। কিন্তু মেলেনি এর প্রকৃত ব্যাখ্যা। এবার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নেমেছে অভিযানে। বহুকালের অমীমাংসিত এই রহস্য উদঘাটনের ব্যাপারে আশাবাদী এই সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে নাসা মহাকাশে ওসিরেক্স রেক্স নামে সাত বছরের একটি অভিযান চালাবে। 

ফ্লোরিডার এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ নাসা একটি মহাকাশযান পাঠাচ্ছে গ্রহাণু বেনুর উদ্দেশ্যে। এটি বেনুতে পৌঁছবে ২০১৮ সালে। তার পর দুই বছরব্যাপী ওই গ্রহাণু থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবে এই মহাকাশযান। তারপর ২০২৩ সালে ফেরত আসবে পৃথিবীতে।

গ্রহাণু হল প্রধানত পাথর দ্বারা গঠিত বস্তু যা কোনো একটি তারার মহাকর্ষের প্রভাবে তাকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে। সৌরজগত গঠনের প্রাথমিক সময় এদের সৃষ্টি হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে মিনারেল ও কেমিক্যালগুলি গ্রহাণুতে অবস্থান করে, তার নমুনা পরীক্ষা করে প্রাণের উৎস জানা যেতে পারে। এই অভিযানের জন্য গ্রহাণু নির্বাচন করার প্রধান কারণ হল প্রতিটি গ্রহাণুই একটি টাইম ক্যাপসুল। সৃষ্টির সূচনা থেকেই এদের অবস্থান। আরও নির্দিষ্টভাবে গ্রহাণু বেনু নির্বাচন করার কারণ, এখানে প্রাচীন কার্বনজাতীয় পদার্থের প্রাধান্য অনেক বেশি। আর যে কোনও প্রাণ সৃষ্টিতে কার্বনজাত উপাদানের গুরুত্ব কতখানি, তা কমবেশি সবারই জানা।

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, মহাকাশযানটিকে বেনুতে পাঠানোর পরিকল্পনা এবং তা রূপায়ণের পদ্ধতি শুরু থেকেই বেশ জটিল ছিল। কারণ গ্রহাণুগুলি যে আবর্তে অবস্থান করে, তাঁর বিজ্ঞানটাই এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। 

এর আগে ২০০১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নাসার ‘নিয়ার’ নামক একটি মহাকাশযান একটি গ্রহাণুতে নেমেছিল। তবে সম্পূর্ণরূপে সফল হয়নি সে পরীক্ষা। যদি ওসিরেক্স রেক্স অভিযান সফল হয়, তবে এটি দ্বিতীয় এমন মহাকাশযান হবে, যেটি নমুনা সহকারে পৃথিবীতে ফেরত আসবে। এছাড়া ২০১০ সালে জাপানের হায়াভুসা মহাকাশযান সর্বপ্রথম গ্রহাণুর থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছিল। তবে উদ্‌ঘাটন হয়নি প্রাণের উৎসের রহস্য। সূত্র: এবেলা। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ



এই পাতার আরো খবর