থেমে যাবে কি মৌমাছির গুনগুন? প্রাকৃতিক নানা পরিবর্তনে বিপন্ন মৌমাছিদের কয়েকটি প্রজাতি। আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপের সাত ধরনের মৌমাছিকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
হাওয়াইয়ের বিপন্ন মৌমাছির মুখের সামনের অংশ হলদে রঙের। দেখলে মনে হবে, তারা হলুদ মুখোশ পরে রয়েছে। এমন সাতটি প্রজাতির মৌমাছি মূলত দেখা যায় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। দু’দশক ধরেই দ্বীপে মৌমাছিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কিন্ত্ত, এই সাতটি প্রজাতির ক্ষেত্রে বিপদ ঘণ্টা বেজে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্যপ্রাণী কর্তৃপক্ষ এই মৌমাছিদের বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়। পরিবেশ রক্ষার কাজে যুক্ত এক্সারসেজ সোসাইটি নামে একটি সংস্থা হাওয়াইয়ের মৌমাছির উপর দীর্ঘদিন গবেষণা চালাচ্ছে। এই সংস্থার ডিরেক্টর সারিনা জেপসন জানান, মৌমাছি পরাগসংযোগের কাজ করে। পরিবেশে ভারসাম্য বজায় রাখে। পৃথিবীর অন্যত্র এই সাত প্রজাতির মৌমাছি পাওয়া যেতে পারে। কিন্ত্ত, এরা মূলত হাওয়াইয়ের জীব। শুধু হাওয়াই দ্বীপে এমন অনেক উদ্ভিদ দেখা যায়, যার পরাগসংযোগ হয় এই হলুদ মৌমাছির মাধ্যমে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মার্কিন রিপোর্টে মৌমাছির বাসস্থান ধ্বংস হওয়ার যে তথ্য বেরিয়েছে, তা উদ্বেগজনক৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৫-র মার্চ থেকে এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে ৪৪ শতাংশের বেশি মৌচাক নষ্ট হয়ে গেছে। তার বাসিন্দাদের সংখ্যাও ক্রমশ কমে আসছে। এক ধরনের কীট মৌচাক নষ্ট করে ফেলছে। এই কীটকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সম্পূর্ণ সরিয়ে ফেলা যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে কীটনাশকের প্রয়োগেও মৌচাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নর্থ ক্যারোলিনায় জিকা ভাইরাস বহনকারী মশা মারার জন্য যে ওষুধ ছড়ানো হয়, তাতেও ক্ষতি হয়েছে মৌচাকের।
বিশ্বজুড়ে মৌমাছিকে বাঁচাতে এমন গবেষণা চললেও হাওয়াইয়ের হলুদ-রঙা সাতটি প্রজাতি কেন সঙ্কটাপন্ন? নতুন কোন পদ্ধতিতে ওই প্রজাতিদের কি বাঁচানো যায়, তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে গবেষকরা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন