ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত নওগাঁর চাষিরা
বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

চলতি মৌসুমে পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। অন্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষকেরা। চাষিরা পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং হাটে বাজারে তা বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। অনেক স্থানে কৃষক খরচ বাঁচাতে রিবোন রেটিং পদ্ধতিতে আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করলেও কৃষকরা তাতে আগ্রহী নয়।

আত্রাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি হয়েছে। কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। বর্তমানে ভালো মানের পাটের মূল্য তিন হাজার টাকা মণ ও নিম্নমানের পাটের মূল্য ২৮০০ টাকা। ন্যায্যমূল্য পেয়ে পাট চাষীদের মাঝে এখন পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

উপজেলার ভোঁপাড়া গ্রামের কৃষক মজিবর আলী জানান, ৯ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলেন, পাটও ভালো হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লোকশানে পড়তে হচ্ছে না।

উপজেলার তারাটিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলনও ভালো হয়েছে। এবার ৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। বাজারে পাটের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে আগামি বছর আরও বেশি জমিতে পাট চাষ করবো। 

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী জানান, এবার গত বছরের তুলনায় পাটের আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। এলাকার কৃষকরা যাতে পাট যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল পাট উৎপাদন করতে পারে এজন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে পাটকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমাণ ঔষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। পাটের ফলনও হয়েছে বাম্পার। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম ও অনেক বেশি। পাটের নায্যমূল্য পেলে চাষিদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর