ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জে পরিত্যক্ত জমিতে ধইনচা চাষে লাভবান কৃষক
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

পরিত্যক্ত জমিতে ধইনচা চাষে লাভবান হচ্ছেন মানিকগঞ্জের কৃষক। নদী ভাঙ্গন কবলিত ও নিচু এলাকায় এক ফসল বা দুই ফসল হওয়ার পর জেলায় প্রচুর জমি পতিত থাকে। এছাড়া অনেক জায়গায় বরো চাষের পরেও জমিতে কোন ফসল হয় না। বেশির ভাগ জমি এই সময় শস্য বিহীন থাকে। 

গত কয়েক বছর থেকে কৃষকরা এসব জমি পতিত না রেখে অনেকে ধইনচা চাষ করছে। কোন ধরনের পরিচর্যা ছাড়াই প্রচুর ধইনচা উৎপাদন হওয়ায় দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে এর আবাদ। হরিরামপুর উপজেলার আগরাইল এলাকার আরশেদ আলী বলেন, বোর আবাদের পর এলাকার প্রায় সব জমিই পতিত থাকে। জমি পতিত না রেখে এবার আমি আড়াই বিঘা জমিতে ধইনচা রোপন করেছি। খুব ভাল হয়েছে। আগে শুধু গরু ছাগলের খাবার আর লাখড়ি হিসেবে জ্বালানো হতো। এখন এই ফেলনা ধইনচা ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপারা এলাকার কৃষক আজিজ হোসেন বলেন, বোর আবাদের পর জমি খালি থাকতো। অন্যের দেখাদেখি আমিও কিছু জমিতে ধইনচা ছিটিয়ে ছিলাম বেশ ভালই হয়েছে। অনেকে ভাল দামে কিনতে চাচ্ছে। বিক্রি করি নাই জ্বালানি কাজের জন্য রেখে দিয়েছি। চিন্তা করছি আগামীতে কোন জমি পতিত রাখবো না। কারন বিনা পরিশ্রমে সার কিটনাশক ছাড়াই প্রচুর ধইনচা উৎপাদন হয়। 

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মুহাম্মদ সাহ্জাহান আলী বিশ্বাস, জানান প্রতিবছর মানিকগঞ্জে ধইনচার আবাদ বাড়ছে। গত বছর জেলায় নয়শত হেক্টর জমিতে ধইনচা চাষ হচ্ছিল। এবার একহাজার আঠার হেক্টর জমিতে ধইনচা আবাদ হয়েছে। ধইনচা এখন বিবিধ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধইনচা চাষে জমির উর্বরা শক্তি বাড়ে, এর কাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পশু খাদ্য হিসেবে গাছের পাতা ও অগ্রভাগ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দেশব্যাপী এ গাছের বীজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আমরা সবসময় পরামর্শ দিচ্ছি কোন জমি পতিত না রেখে ধইনচা চাষ করার জন্য।    

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর