ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

আলু বীজ বপনে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক
আবদুল বারী, নীলফামারী
আলু বীজ বপনে ব্যস্ত নীলফামারীর কৃষক

ভালো দামের আশায় কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মাঠের পর মাঠ উঁচু সমতল ভুমিতে আগাম জাতের আলু বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকেরা। মৌসুমের প্রথম দিকে আগাম জাতের আলু উৎপাদন হলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমনটাই আশা কৃষকদের। 

স্বল্পমেয়াদী আউশ, আগাম আমন ধান কাটা, মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ, জমি প্রস্তত, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করছেন তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে চলছে আলু বীজ বপন ও জমি প্রস্তুতের কাজ। এসময় রণচন্ডী ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, গত বছর ধান কাটার পর ১ একর জমির আলু ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি তাতে কিছু লাভ হয়েছে। এবারো বেশি লাভের আশায় ৮০ শতাংশ জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলু বীজ বপন  করছি। 

বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক লাল বাবু ১২ বিঘা ও শামীম হোসেন বাবু ২৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করছেন। তারা বলেন, বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে,তার লাভ তত বেশি। আগাম আলু চাষে কোনো ক্ষতির আশষ্কা নাই। এখানকার উঁচু জমি বালুমিশ্রিত হাওয়ায় এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোন ভয় থাকবে না। 

কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এ বছর ৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জতিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থকরী ফসল হিসেবে আলু চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এ এলাকায় আলু চাষ করে অধিকাংশ কৃষক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে। এই উপজেলার মাটি আগাম চাষে খুবই উপযাগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষীরা আগাম আলুর বাজার ধরার প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমে পড়েছেন। 

বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির 



এই পাতার আরো খবর