ঢাকা, বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত পাহাড়
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

লাখো পর্যটকের ভিড়ে মুখর পাহাড়। টানা তিন দিনের সরকারি ছুটিকে কাজে লাগাতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটছে পাহাড়ে। প্রায় প্রতিদিন আসছে দুই থেকে চার হাজারেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার লাখো মানুষের অরণ্যে পরিণত হয় পাহাড়। শুধু রাঙামাটি নয়, এমন পর্যটক উৎসবে মেতেছে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানও। 

সবুজ অরণ্যে রাজ্য পার্বত্যাঞ্চলে পুরোদমে শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম। বইছে পর্যটক উৎসবের আমেজ। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অগণিত পর্যটক আগমনে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই কোথাও। তিন দিন সরকারি ছুটির থাকায় পাহাড়ে পযর্টকদের ভিড় বেড়েছে বেশি। কোথাও রুম খালি নেই। আছে অগ্রিম বুকিংও। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার বিকালে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্যে ভরপুর। প্রকৃতির টানে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আগত পর্যটকরা রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝর্ণা, পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো পার্ক ও কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কাপ্তাই হ্রদ নৌ-ভ্রমণের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে। 

রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ূয়া জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স, ডিসি বাংলো পার্ক, পলওয়ে পার্ক, সুবলং ঝর্ণা, আসামবস্তি সড়ক, প্যাদা টিং টিং, বরগ্যাং ও ফুরামন পাহাড়ের মত অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে রাঙামাটিতে। এসব স্থানে পর্যটকদের জন্য গড়ে তুলে হয়েছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট আর বিনোদন কেন্দ্র। রেস্টুরেন্টগুরোতে মিলছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বিভিন্ন খাবার। যার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে আছে এ অঞ্চলের মানুষের দেশিও পোশাক ও পণ্য সামগ্রী। যারা ঘুরতে আসছে তারাও ছুটে যাচ্ছে এসব শপিংমলে। ফলে চাঙ্গা হয়ে উঠছে স্থানীয় ক্ষুদ্র পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো। একই সাথে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কাপ্তাই হ্রদের নৌ- ট্যুরিস্ট বোর্ট ব্যবসায়ীরা। দিন রাত ছুটছে তারা কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে। পর্যটকদের আগমন ঘিরে পর্যটন কমপ্লেক্সের রাজস্ব খাতে আয়ও বেড়েছে।

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ



এই পাতার আরো খবর