ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

উৎসবের আমেজ নেই পাহাড়ে
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

বছর শেষ। তবুও ইংরেজি নতুন বছর বরণে নেই কোনো আয়োজন। তবে করোনার টানা ধকল কাটিয়ে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মেতেছে পাহাড় বাসিন্দারা। পর্যটন ব্যবসা চাঙ্গা করতে শুরু করেছে ক্ষুদ্র কুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। স্থানীয়রা বলছে, নতুন বছর, নতুন চ্যালেঞ্জ। মহামারিতেও টিকে থাকার লড়াইয়ে যেন থেমে নেই। তাই এবার ২০২২ সালকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টায় অনেকটা রঙহীন উৎসব করছে পাহাড়বাসী। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে করোনার কারণে পাহাড়ে নেই কোনো উৎসব। টানা স্থবিরতায় ফিকে হয়েছে সমস্ত আমেজে। তবে এবার ভিন্ন চিত্র। পাহাড়ে উৎসব না থাকলেও আসছে দেশি-বিদেশী পর্যটক। পর্যটকদের আগমনে পার্বত্যাঞ্চলে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। জমে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো। 

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাল বড়ুয়া বলেন, রাঙামাটি অগণিত পর্যটক এসেছে নতুন বছরকে কেন্দ্র করে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে তিল ধারনের জায়গা খালি নেই। সব হোটেল, মোটেল ও রেস্টহাউজ পরিপূণ। রয়েছে অগ্রিম বুকিং। করোনা মহামারিতেও মানুষ এভাবে পাহাড়ে ঘুরতে আসবে তা কল্পনার বেইরে। তাই পর্যটকদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিশেষ ব্যবসা করেছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।  অন্যদিকে থার্টি ফাস্ট নাইট ঘিরে রাঙামাটিতে নেই কোনো উৎসবের আয়োজন। কিন্তু তবুও পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয়ের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। 

এ ব্যাপারে রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ  জানান, করোনার ভয়াবহতা অনেকটা কমে এসেছে রাঙামাটিতে। তবুও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে স্থানীয় ও দূর-দুরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য। থার্টি ফাস্ট নাইট ও নতুন বছর ঘিরে তেমন কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কেউ কোন পার্টি করতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপারের অনুমতি নিতে হবে। আর সব ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর