ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

শরতের প্রকৃতিতে কদম ফুলের আভা
দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী
ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

কদমকে বর্ষার ফুল হিসেবেই চেনে সাধারণ মানুষ। এ বছর বর্ষায় প্রকৃতিকে সেভাবে কদম ফুল দেখা যায়নি। তবে চলতি বছরের শরতের আশ্বিনে রাজবাড়ীর প্রধান সড়কে হলুদে সেজেছে প্রকৃতি। প্রধান সড়কের বেশ কয়েকটি গাছে দেখা মিলেছে কদম ফুলের।

জেলার প্রধান সড়কের অঙ্কুর স্কুল এন্ড কলেজ গেটের সামনে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচেছ হলুদ কদম ফুল। একটু সামনে আগালেই বড় মসজিদ। মসজিদের প্রবেশপথের আরও একটি গাছে ফুটেছে কদম ফুল। পথচারী সহ অনেক শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিভেজা কদমের ছটি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করছেন।

কদম নামটি এসেছে সংস্কৃত নাম কদম্ব থেকে। প্রচীন সহিত্যের একটি বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে কদম ফুলের আধিপত্য। কদম ফুলের আদি নিবাস ভারতে উষ্ণ অঞ্চল, চীন ও মারয়ে। কদম গাছের পাতা লম্বা, উজ্জ্বল সবুজ ও চকচকে। বসন্তের শুরুতে গাছে নতুন পাতা গজায় এবং শীতে গাছের পাতা ঝড়ে যায়। কদম ফুল গোলাকার। পুরো ফুলটিকে একটি ফুল মনে হয়। আসলে কদম অসংখ্য ফুলের গুচ্ছ।

রাজবাড়ীর কবি নেহাল আহম্মেদ একদিন আগে কদম ফুলের তিনটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন- এখন তো আষাঢ় মাস না। কদম ফুল কি ভুল করে এসে পড়লো রাজবাড়ীতে।

সুনিল কুমার বিশ্বাস নামে একজন লেখেন- কদম ফুল ভালোবাস দিতেই এ সময় রাজবাড়ীতে চলে এসেছে। কারণ কদম ফুল উজার করে ভালবাসতে জানে।

কাকলি কেয়া নামে একজন জানান, মানুষ যেমন নিয়ম হারিয়ে ফেলেছে, প্রকৃতিও তাই নিজের নিয়ম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।

কলেজ শিক্ষার্থী সুগন্ধা সরকার বলেন, বৃষ্টির দিনে বন্ধুকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খেতে আসছিলাম। হেটে আসার সময় দেখলাম একজন মানুষ ছবি তুলছে। উপরে তাকাতেই দেখলাম বৃষ্টিভেজা কদম। দুইজন মিলে ছবি তুললাম। সত্যি অসাধারণ প্রকৃতি।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম শহীদ নূর আকবর বলেন, এখন কদম ফুল অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বৃষ্টির দিনে কদমের কথা শুনে ভালো লাগলো। প্রকৃতিকে যেন প্রকৃতির নিয়মে চলতে দেওয়া হয়। তাহলে সবার জন্য মঙ্গল হবে।

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ



এই পাতার আরো খবর