ঢাকা, বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

তিতাসের তীরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা। শুক্রবার দিনব্যাপী এ মেলাতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটেছে। মেলাকে ঘিরে শহরের ভাদুঘরজুড়ে যেন এক উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। শুক্রবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান উপলক্ষে এ মেলা শুরু হয়। 

জেলার নয়টি উপজেলাসহ আশ পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নারী পুরুষ মেলায় এসেছেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসেন ক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ক্রয় করছেন লোকজন।

সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরী খেলনা। দেশীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ছাড়াও গৃহস্থলি সামগ্রীর অনেক জিনিস উঠেছে। এছাড়াও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান রয়েছে। বিক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী ঘুরে ঘুরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মেলায় ঘুরতে আসা শেখর দাস বলেন, আমরা ছোটবেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আমাদের বাবা দাদাদের সাথে এই মেলায় আসতাম। তবে কালের আর্বতে ও আধুনিক জীবন যাপনের কারণে বর্তমানে লোকজ সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর উৎকর্ষতা আগের মত নেই।

মেলায় পণ্য সামগ্রী কিনতে আসা অর্পিত পাল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ে হয়ে এসেছি প্রায় ৪০ বছর হল। ভাদুঘরের বারুণী মেলার আনন্দটাই অন্যরকম। এখানে আমাদের ছোট সময়ের নানা মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। যা আমাদের শৈশব কৈশোরের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। মেলা থেকে ঘরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় আসবাপত্র কিনেছি। জনশ্রুতি রয়েছে, বৈশাখ মাসে নবাবরা তাদের খাজনা আদায়ের জন্য একটি নির্ধারিত সময় ঠিক করে দিতেন। নির্ধারিত সময়ে প্রজারা খাজনা দিতে আসলে তাদের খাবার দাবারসহ বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসত বিক্রেতারা। সেটাই কালক্রমে মেলায় রুপ নিয়ে নিয়েছে। অপর একটি জনশ্রুতি রয়েছে, হিন্দুদের বারুনী স্নান থেকেই এ মেলার উৎপত্তি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, দিনব্যাপী এই মেলার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষনিক মেলার চারদিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর