মানুষের হারিয়ে যাওয়া আনন্দ বিনোদনের গ্রামীণ মাধ্যমগুলো ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ ৩০ বছর পর নেত্রকোনার জামতলা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামের ঐহিত্যবাহী কুস্তি খেলা। আর এমন আয়োজন দেখতে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীরা ভিড় জমায় সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের জামতলা বাজারের পাশে শাহপুর গ্রামে।
জামতলা বাজারের উদ্যোগে আয়োজিত খেলায় সহস্রাধিক দর্শক সমাগম হয়। নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাদের অনেকেই শুধু শুনেছে কুস্তিখেলার কথা, কখনো দেখা হয়নি। তাই তারা দেখতে ভিড় জমায়। এক একজন কুস্তিগীরকে মাল বলা হয়। আগের দিনে কুস্তিগীরদের বেশ কদর থাকলেও গ্রামে এখন তেমন তৈরী হচ্ছে না কুস্তিগীর।
দিনে দিনে হারিয়ে যাওয়া এসকল খেলাধুলায় মানুষের বিনোদনের পাশাপাশি শারিরীকভাবে শাক্তিশালী থাকে বলে জানান কুস্তিবিদরা। তাই নতুন প্রজন্মকে মোবাইল ডিভাইসসহ মাদক থেকে সরিয়ে আনতে গ্রাম পর্যায়ে আবারো আয়োজন করা হয়েছে এমন ঐহিত্যবাহী কুস্তি খেলার।
কুস্তি খেলা অনুষ্ঠানে জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোতালিব খান রানার সভাপতিত্বে বিজীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।
সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উপেক্ষা করে খেলায় সহস্রাধিক দর্শক আনন্দ নিয়ে দীর্ঘদিন পর গ্রামীণ ঐহিত্য উপভোগ করেছেন। তাদের দাবি, গ্রাম পর্যায়ে প্রতিনিয়ত এই ধরনের গ্রামীণ খেলাসহ হারিয়ে যাওয়া হাডুডু, কাবাডিসহ গ্রামীণ খেলাগুলো চালু করা। প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন ফি দিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক কুস্তিগীর অংশ নেন। তাদের মধ্যে ১০ টি মেডেল, ১৫ জনকে ছাতা উপহার, ১২ জনকে বাটন মোবাইল, দুইজনকে স্মার্ট ফোন, দুইজনকে খাসি ও একজনকে খাসির সমান বড় একটি ষাঁড় বাছুর উপহার দেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল