ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চায়না দুয়ারি জালের দাপটে সঙ্কটে দেশীয় মাছ
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন খাল, বিল ও নদীতে চায়না দুয়ারি জালে মাছ শিকার করায় সঙ্কটে পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। বিশেষ করে সোনাতলা উপজেলার খাল-বিলে বেড়েই চলেছে চায়না দুয়ারি জালের আধিপত্য। অবৈধ এই চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জেলেরা। কয়েক দফায় এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে আইনি ব্যবস্থা নিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। 

জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর, ধুনট, নন্দীগ্রাম ও সারিয়াকান্দিসহ ১২টি উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিলে সহজেই দেখা মিলছে প্রাণ-প্রকৃতি বিনাশী চায়না দুয়ারি জাল। এ জালের আধিপত্যে সঙ্কটে পড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বিশেষ করে সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর বিভিন্ন শাখায়, বাঙালি নদীতে এবং প্রায় সকল খাল-বিলে অত্যন্ত কৌশলে জালটি ব্যবহার করছে এক শ্রেণির জেলে। 

ধারণা করা হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষতিকর চায়না দুয়ারি জালের প্রভাবে ভবিষ্যতে মাছ শূন্য হয়ে পড়তে পারে নদী, খাল-বিল অধ্যুষিত এ এলাকা। মাঝে মাঝে ক্ষতিকর জালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও অভিযানের শেষে আবারও দাপুটে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় জেলেদের।

সোনাতলা উপজেলার স্থানীয় শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, আগে সোনাতলার নদী-নালা, খাল-বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু ক্ষতিকর কিছু জাল বিশেষত চায়না দুয়ারি জালের কারণে বংশবৃদ্ধি কমে গেছে দেশীয় প্রজাতির মাছের। সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানামুখী তৎপরতা গ্রহণ করলেও চায়না দুয়ারি জালের কারণে ব্যাহত হতে বসেছে সে উদ্যোগটি।

সোনাতলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, মাছের উৎপাদন আরও বৃদ্ধির জন্য আমরা সরকারের নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে চলেছি। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু লোকের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেসব উদ্যোগ। আমরা মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করে চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করছি, নিচ্ছি প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা। চায়না দুয়ারি জালের বিরুদ্ধে আমাদের এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

চায়না দুয়ারি জালসহ পরিবেশবিনাশী সব ধরনের জাল ব্যবহার রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত



এই পাতার আরো খবর