ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

কম দামে শীতের পোশাক বগুড়ার গাউনপট্টিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বিত্তশালীরা অভিজাত বিপণী বিতান থেকে কেনাকাটা করলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা ছুটছে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার পৌর শহরের রেলগেট এলাকায় স্বাধীনতামঞ্চ ঘেঁষে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে। 

স্থানীয়ভাবে মার্কেটটি সবার কাছে গাউনপট্টি নামেই পরিচিত। এই পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার কাপড় বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ পুরাতন কাপড় কিনে থাকেন।

জানা যায়, সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আসেন স্বল্প দামে গরম কাপড় কিনতে। স্বাধীনতা মঞ্চের উত্তর পাশে রেললাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা এসব দোকানে কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপান ও চায়নাসহ বিভিন্ন দেশের পুরাতন ব্লেজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, টাউজার, মাফলার, টুপি, ফুলহাতা গেঞ্জি ও কম্বলসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, এই মার্কেটে প্রতি শীত মৌসুমে নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে পুরাতন শীতের কাপড়ের বেচা-কেনা। শীত মৌসুমে প্রতিটি দোকানে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হয়। সেই হিসেবে শতাধীক দোকানে প্রতিদিন প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে।

কাপড় ব্যবসায়ী গোলজার মৃধা বলেন, আমি শীত মৌসুমে এই গাউনপট্টিতে শীতের জামা-কাপড় বিক্রি করি। এখানে সাধারণত নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের লোকজন আসেন। আবার মধ্যবিত্ত লোকেরাও আসেন। কমদামি কাপড়গুলো ১০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে, মাঝারি ধরনেরগুলো ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা আর কিছু দামী কাপড় ও কম্বল ১ হাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। 

অটোভ্যান চালক নয়ন আলী জানান, শীতের সকালে গাড়ি চালাতে কষ্ট হয়। তাই কম দামে শীতের গরম জ্যাকেট কিনতে এখানে এসেছি। নতুন পোশাকের দোকানে একটি জ্যাকেট কিনতে গেলে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার বেশি প্রয়োজন হয়। আর এখানে আমি মাত্র চার’শ টাকায় মোটা কাপড়ের টুপিওয়ালা জ্যাকেট কিনতে পেরেছি।

সান্তাহার পুরাতন কাপড় মার্কেটের ব্যবসায়ী নিজামুল আমিন বৃত্তি  বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রায় ৩০-৩২ বছর যাবৎ আমাদের এই মার্কেটটি নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। বেল্ট বেঁধে বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে কাপড়গুলো আসে। প্রতি বেল্ট ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে নানা দামে কিনতে হয়। বেল্ট ভাঙার পর কাপড়গুলো বাছাই করে দোকানে সাজানো হয়। ক্রেতদের পছন্দের জিনিসের দাম হলে তা বিক্রি করে দেওয়া হয়। এসব দোকান ঘিরে শীত মৌসুমের চার মাস এখানে ৪০০-৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।  

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর